বরিশাল জেলা বাস-মিনিবাস-কোচ-মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের একাংশের সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান সুমনকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় ৫০ জনের নামে মামলা হয়েছে।
১৫ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় ৩৫ জনকে আসামি করে সোমবার গভীর রাতে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন সুমনের মা সেতারা বেগম।
মামলার পর পরই ২৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান মাসুমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বিষয়টি মঙ্গলবার দুপুরে নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন।
তিনি বলেন, ‘আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে। ঘটনার পরপরই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে বাসস্ট্যান্ডে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নাম উল্লেখ করা আসামিদের মধ্যে ১৪ জনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন ২৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইদুর রহমান জাকির, তার ভাই মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম জাহিদুর রহমান মনির, ছোট ভাই সাবেক ছাত্রদল নেতা মামুন মোল্লা, ২৫ নম্বর ওর্য়াড আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিুকর রহমান মাসুম, সাধারণ সম্পাদক মীর শহিদুল ইসলাম রনি, মঈন সিকদার, ওয়াদুদুর রহমান সোহেল মোল্লা, মো. আজম, মো. বাসার, মো. সুরুজ, মো. পান্না মৃধা, ২৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাফিন মাহমুদ তারিক, শফিকুল ইসলাম ওয়ারেছ ও মো. জাহিদ।
মামলার বাদী সেতারা বেগম বলেন, ‘রূপাতলী বাসস্ট্যান্ড দখলে নিতে সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর নির্দেশে তার সন্ত্রাসীরা সোমবার ইফতারির কিছুক্ষণ আগে আমাদের ঘরসহ মোট তিনটি ঘরে হামলা চালায়। এ সময়ে আমার ছেলে সুমন মোল্লাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কোপায় তারা। তাকে বাঁচাতে আল আমিন গেলে তাকেও কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেন। সুমনের অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
সুমনের স্ত্রী আইরিন বলেন, ‘মেয়র সাদিকের নির্দেশে সুমনের ওপর এই হামলা করা হয়েছে।’
রোববার দুপুরে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুখ সমর্থক বরিশাল জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি সুলতান মাহামুদের অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে মেয়র সমর্থক শ্রমিক ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
পাল্টা হামলার অভিযোগ করেছেন অপর কমিটির সভাপতি পরিমল চন্দ্র দাস। হামলা-পাল্টা হামলায় ৬ জন আহত হয়। এ ছাড়া শনিবার দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। সর্বশেষ সোমবার সুমন মোল্লা ও তার সহযোগিকে কুপিয়ে জখম করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে রূপাতলী মিনিবাস টার্মিনাল দখল নিয়ে মেয়র ও প্রতিমন্ত্রী সমর্থক শ্রমিকদের মধ্যে এ দ্বন্দ্ব চলছে।