নেত্রকোণার হাওরাঞ্চলের ধনু নদীর পানি আর পাঁচ সেন্টিমিটার বাড়লেই বিপৎসীমা ছাড়াবে। এতে তলিয়ে যাওয়ার হুমকিতে পড়বে তিন জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার বোরো ধান।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নেত্রকোণা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত ধনু নিউজবাংলাকে বিষয়টি জানান।
তিনি বলেন, ‘খালিয়াজুরী পয়েন্টে ধনু নদীর বিপৎসীমা ৪ দশমিক ১৫ মিটার। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় মেপে দেখা গেছে, পানি ৪ দশমিক ১০ মিটারে পৌঁছেছে। অর্থাৎ আর ৫ সেন্টিমিটার বাড়লেই বিপৎসীমা পার করবে।
‘গত কয়েকদিন মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুরমা ও ধনু নদীতে পানি বেড়ে গেছে।’
খালিয়াজুরী উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মামুন অর রশিদ জানান, খালিয়াজুরী উপজেলার সব বোরো জমি ধনু নদীর পাড়ে। কিছু ফসল রক্ষা বাঁধের মাধ্যমে এখানকার ফসল রক্ষা করা হয়। তবে ধনু নদীর পানি বাড়লে ফসল রক্ষা বাঁধের ওপর চাপ পড়বে। এতে বাঁধগুলো ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেবে। এরই মধ্যে খালিয়াজুরীর কীর্তনখোলা বাঁধ ভাঙনের পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।
মামুন অর রশিদ বলেন, ‘ধনু নদী উপচে পড়লে পানি ক্রমশ নিম্নাঞ্চলের দিকে ছড়িয়ে পড়বে। এতে নেত্রকোণার খালিয়াজুরী, মদন, মোহনগঞ্জ, সুনামগঞ্জের শাল্লা, কিশোরগঞ্জের ইটনা ও মিঠামইনসহ হাওরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকার বোরো ফসল হুমকিতে পড়বে।