করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় দুই বছর পর আবারও পহেলা বৈশাখ পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কর্তৃপক্ষ। পুরানো ঢাকার ঐতিহ্যবাহী এ বিদ্যাপীঠটি জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালন করতে যাচ্ছে বাংলা নববর্ষ-১৪২৯।
এ উপলক্ষে নববর্ষের প্রথম দিনটিতে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা অনুযায়ী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
আয়োজনে থাকছে মঙ্গল শোভাযাত্রা, থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বাংলা বর্ষ বরণের নানা আয়োজন।
এছাড়াও এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার মূল প্রতিপাদ্য হবে ‘প্রকৃতি’। পাশাপাশি থাকবে পাখি, ফুল ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক বস্তু।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হকের সভাপতিত্বে তার কনফারেন্স কক্ষে সোমবার পহেলা বৈশাখ যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সভা শেষে উপাচার্য সাংবাদিকদের জানান, এবার পহেলা বৈশাখে সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হবে৷ রায়সাহেব বাজার মোড় থেকে ঘুরে পুরান ঢাকার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসে এসে শেষ হবে। এদিন বিকেল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজিবমঞ্চে নানান সাংস্কৃতিক আয়োজন থাকবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক আরও বলেন, ‘আমাদের এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার মূল থিম হবে ‘প্রকৃতি’। এর পাশাপাশি থাকবে পাখি, ফুল ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক বস্তু। রমজান মাস হওয়াতে আমরা বিকেল ৩টার মাঝে অনুষ্ঠান শেষ করব।’
মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে সকাল ১০টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজিবমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। এর মধ্যে যোহর নামাজ চলাকালীন সময়ে বিরতি থাকবে।
এর আগে সবশেষ ২০১৯ সালের বাংলা নববর্ষ-১৪২৬ এ মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বাংলা নববর্ষ-১৪২৭ করোনাভাইরাস মহামারির কারণে মঙ্গল শোভাযাত্রার সব অনুষ্ঠান স্থগিত করেছিল কর্তৃপক্ষ। এরপর করোনা মহামারির কারণে ভার্চুয়ালি বাংলা নববর্ষ ১৪২৮ পালন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে দুই বছর পর এবার ১৪ এপ্রিল হবে মঙ্গল শোভাযাত্রা।
সবশেষ ২০১৯ সালের বাংলা নববর্ষ-১৪২৬ এ মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ছবি: সংগৃহীত
প্রসঙ্গত, জবিতে প্রতিবছর বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মঙ্গল শোভাযাত্রাটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৬টি বিভাগ ও ২টি ইনস্টিটিউট বিভিন্ন ব্যানারে অংশ নেয় এবং এর পাশাপাশি পুরান ঢাকার ঐতিহ্য ধরে রাখতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ব্যবসায়ী সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এতে অংশ নেয়। তবে করোনা মহামারির কারণে পর পর দুই বছর বিশ্ববিদ্যালয়টিতে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা সম্ভব হয়নি।