কিশোরগঞ্জে দাওয়াতে এনে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার দক্ষিণ মোল্লাপাড়া এলাকা থেকে রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ৪৫ বছরের আতাউর রহমান আতিকের বাড়ি কটিয়াদি উপজেলার বাগবের গ্রামে।
সোমবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানায় র্যাব-১৪।
সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. শাহরিয়ার মাহমুদ খান নিউজবাংলাকে জানান, গত ৩১ মার্চ ১২ বছরের ওই কিশোরী ও তার বড় ভাইকে দাওয়াতের কথা বলে সদরে আনিছ নামের একজনের বাসায় নিয়ে আসেন আতিক।পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সেখানে তারা কিশোরী ও তার ভাইকে দই ও মিষ্টির সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ খাওয়ান। একসময় তারা অচেতন হয়ে পড়লে ওই দুজন কিশোরীকে ধর্ষণ করেন।
একপর্যায়ে মেয়েটির জ্ঞান ফিরলে দেখতে পায়, আতিক তাকে ধর্ষণ করছে। এ সময় মেয়েটি আপত্তি জানালে আনিছ তাকে ছুরি ধরে ভয় দেখান।
ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয়ভাবে গ্রাম্য সালিশে আতিককে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। আতিক টাকা না দিয়ে পালিয়ে যান। মেয়েটির অবস্থা খারাপ দেখে রুবেল নামে আতিকের এক প্রতিবেশী তাকে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
পরে মেয়ের পক্ষে তিনি আতিককে ফোন করে জরিমানার টাকা দিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু আতিক টাকা দেয়া অসম্ভব জানিয়ে র্যাবের কাছে অপহরণের মিথ্যা অভিযোগ করেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমে র্যাব ধর্ষণের ঘটনা উদ্ধার করেন।
এই র্যাব কর্মকর্তা জানান, এ ঘটনায় আতিক ও আনিছের নামে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। এরপরই আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালায় র্যাব।
তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার আতিককে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আনিছকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’