উজান থেকে ধনু নদী দিয়ে বয়ে আসা পাহাড়ি ঢলের তোড়ে নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলার কীতর্নখোলা বাঁধে ফাটল ও ধস দেখা দিয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ বাঁধটি ভেঙে গেলে উপজেলার অর্ধেকের বেশি বোরো ফসল হুমকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত ও খালিয়াজুরী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াসিন খন্দকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তারা বলেছেন, একটি অংশে ফাটল ও কিছুটা ধস দেখা দিয়েছে। তবে বাঁধটি রক্ষায় সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াসিন খন্দকার বাঁধ এলাকা থেকে রাত ১০টার দিকে জানান, বড় আকারের ফাটল দেখা দেয়ায় বাঁধটি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তা ছাড়া সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে হাওরের পাশের ৩০-৪০ ফুট জায়গায় ধস দেখা দিয়েছে। তবে নদীপাড়ের অংশ এখনও ঠিক আছে। খালিয়াজুরী ও সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার শতাধিক কৃষক বাঁশ, চাটাই ইত্যাদি দিয়ে বাঁধটি রক্ষার চেষ্টা করছেন।
খালিয়াজুরী উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম ফালাক জানান, সোমবার বিকেলেই বাঁধটিতে ফাটল দেখা দেয়। আস্তে আস্তে ফাটলের আকার বড় হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে মেরামত করা না গেলে এটি যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে যেতে পারে। আর বাঁধ ভাঙলে বিস্তীর্ণ এলাকার জমির ফসল ডুবে যাবে।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত বলেন, ‘বাঁধটি মেরামতের কাজ চলমান।’
খালিয়াজুরী উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মামুন অর রশিদ জানান, খালিয়াজুরী উপজেলার বোরো ফসল রক্ষার জন্য কীর্তনখোলা বাঁধটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এ বাঁধ ভেঙে গেলে প্রথমেই পাঙ্গাসিয়া হাওরের ১ হাজার ২০০ হেক্টর জমির বোরো ফসল ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পরবর্তী সময়ে আস্তে আস্তে হাঁসেরকোনা, বড় নূরপুর, চাকুয়া, চৌতারা প্রভৃতি বাঁধও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়বে। অর্থাৎ কীর্তনখোলা বাঁধ ভেঙে গেলে উপজেলার ৭০ ভাগ বোরো ফসলই হুমকির মুখে পড়বে।