ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অনিয়ম-অপরাধে দোষীদের লক্ষাধিক টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার একাধিক মোবাইল কোর্ট পৃথকভাবে উত্তরা, মিরপুর ও কারওয়ানবাজারে এসব অভিযান চালায়।
কারওয়ান বাজার এলাকার ফুটপাত দখল করে গড়ে ওঠা ভ্রাম্যমাণ দোকানসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান, বাজার, ফলের দোকান ও মাছ-মাংসের দোকানে অভিযানকালে অনিয়মের দায়ে এক লাখ দশ হাজার টাকা জরিমানা করে মোবাইল কোর্ট।
এখানে অভিযান পরিচালনা করেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (অঞ্চল-৫) মোতাকাব্বীর আহমেদ।
এছাড়া মিরপুরের উত্তর পীরেরবাগ ও মধ্য পীরেরবাগ এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবেদ আলী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। সেখানে ৪৮টি ভবন, স্থাপনা, জলাশয়, রেস্তোরাঁ ও দোকানপাট পরিদর্শন করা হয়।
এছাড়া সেখানে সবার ঢাকা অ্যাপস-এর ৩টি অভিযোগ নিষ্পত্তি করাসহ ফুটপাতে মালামাল রেখে জনসাধারণের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় নির্মাণাধীন ৩টি বাইড়র মালিককে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একইসঙ্গে প্রায় ২০০ মিটার ফুটপাত অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়।
একই এলাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ ও ভেজাল খাবার বিক্রির দায়ে দুটি রেস্তোরাঁকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে সাড়ে ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরে বিডিআর বাজারে মূল্য তালিকা না থাকায় দুটি দোকানে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এখানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন অঞ্চল-১ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন।
এছাড়া উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরের জহুরা মার্কেট এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এক কিলোমিটার ড্রেন, রাস্তা ও ফুটপাত থেকে ভ্রাম্যমাণ দোকান অপসারণ করা হয়। একইসঙ্গে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ থাকায় একটি রেস্তোরাঁকে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মিরপুর-১ নম্বর এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান। এ সময় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ থাকায় তিনটি খাবার হোটেলকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড় পবিত্র রমজান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ এবং ভেজাল খাদ্যদ্রব্যের বিরুদ্ধে ডিএনসিসির প্রতিটি অঞ্চলে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মাইকিং করা হয়।