বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাঁধ রক্ষায় জনগণকে তদারকির অনুরোধ ডিসির

  •    
  • ৪ এপ্রিল, ২০২২ ২১:৫৬

জেলা কৃষি অফিসের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখন নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে, কিন্তু ধানগুলো কাটতে এখনও সপ্তাহখানেক সময় লাগবে। দোয়া করেন এর আগে যেন আর বৃষ্টি না আসে।’

পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিতে বোরো ধানের ক্ষতির আশঙ্কা থেকে জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে জেলা প্রশাসন। তাতে স্থানীয়দের প্রতি ফসলরক্ষা বাঁধ তদারকির অনুরোধ জানানো হয়েছে।

জেলা প্রশাসক (ডিসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সোমবার সন্ধ্যা জারি করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ‘পাহাড়ি ঢলের কারণে সুনামগঞ্জ জেলার প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাওরের বোরো ফসল রক্ষাবাঁধ আগামী ২৪ ঘণ্টা সার্বক্ষণিক তদারকি করার জন্য সর্বসাধারণকে অনুরোধ করা যাচ্ছে।’

এর আগে সোমবার দুপুরে জেলার শাল্লা উপজেলার বাঘার হাওরে পানি ঢুকে কয়েক হেক্টর জমির ধান তলিয়ে গেছে।

দাঁড়াইন নদীর পানি সোমবার বেলা সাড়ে ৩ টার দিকে হাওরে ঢুকতে শুরু করে।

দামপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘এই হাওরেই সব জমি। আমার চোখের সামনে সবকিছু ভেসে যাচ্ছে। এখন ছেলে মেয়ে নিয়ে কীভাবে চলব, এই চিন্তাই করছি।’

পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্র জয় সরকার বলেন, ‘ফসল তলিয়ে যাওয়ার পর বাবার কান্না দেখে, নিজেই কাঁচি হাতে ধান কাটতে এসেছি। কিছু ধান এখনও পাকেনি। এরপরও তলিয়ে যাওয়ার চেয়ে কিছু ধান ঘরে নিতে পারলে দুয়েক দিনের খাবার হবে।’

শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তালেব নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি ৭-৮ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গিয়েছে। যারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের আমরা সহায়তার আওতায় নিয়ে আসব।’

জেলা কৃষি অফিসের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হাওরে এবার ২ লাখ ২২ হাজার ৮০৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এখন নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে, কিন্তু ধানগুলো কাটতে এখনও সপ্তাহখানেক সময় লাগবে। দোয়া করেন এর আগে যেন আর বৃষ্টি না আসে।’

এ বিভাগের আরো খবর