ভোজ্যতেলে যে হারে ভ্যাট মওকুফ করা হয়েছে তার প্রভাব ইতোমধ্যে বাজারে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সোমবার দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা বিষয়ক টাস্কফোর্স কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি, ভোজ্যতেলের উপর যে হারে ভ্যাট মওকুফ করা হয়েছে, বাজারে তার প্রভাব ইতোমধ্যে পড়েছে। তবে বাজারে রিটেইলার সংখ্যা লাখ লাখ। কোথাও হয়ত কিছুটা ব্যতিক্রম হচ্ছে। সেটিও যাতে না হতে পারে তার জন্যই বাজারে পণ্যের সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।’
আমদানির পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে বলে জানান তিনি। বলেন, ‘ভ্যাট মওকুফের পর থেকে এখন পর্যন্ত ৯০ হাজার টন ভোজ্যতেল এই মওকুফ সুবিধা নিয়ে আমদানি হয়েছে। এখন কারা কোথায় সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করছে আমরা তার মনিটরিং করছি।’
এই সরবরাহ নিশ্চিত করতে সাপ্লাই অর্ডার ও ডেলিভারি অর্ডার যাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হয় সে বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
বাজারে পণ্যের স্বাভাবিক সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে দামও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এ কারণে যে কোনোভাবে পণ্যের স্বাভাবিক সরবরাহে টাস্কফোর্স নজর রাখছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, একইসঙ্গে তা পালন করে কিনা তার নজর রাখছে টাস্কফোর্স। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এখানে কাজ করছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে পরিবহন জটিলতা দূর, চাঁদাবাজি পরিহার, ফেরি পারাপারে সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এসব বিষয়গুলো যাতে সহজে হতে পারে তার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সার্বিক সহযোগিতা দিচ্ছেন।’
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম না কমলে দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম আপাতত আর কমানো সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে তেলের বাজার নির্ভর করে ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার উপর। সেখানে দাম না কমলে দেশের বাজারে আপাতত আর দাম কমানোর সম্ভাবনা কম। কারণ তেলের দাম নির্ধারণ করা হয় আন্তর্জাতিক বাজারে এক মাসের গড় দাম নির্ধারণ করে। বর্তমানে যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে তা ১৪৬০ ডলারের, আন্তর্জাতিক বাজারে সেটিও ১৯০০ ডলার পর্যন্ত হয়েছে। সম্প্রতি দাম কমছে, কিন্তু সেটির গড় দাম এখনও ১৬০০ ডলারের উপরের।’
তাই গড় দাম আরও নিচে নেমে না আসলে ১৬০ টাকার নিচে আপাতত কমানো সম্ভব নয়।
মূল্য নিয়ন্ত্রণে টিসিবিকে আরও সক্রিয় করার কথা জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। রমজানে চাহিদাযোগ্য পণ্যগুলোর বাজার অংশীদারিত্ব ৩০ থেকে ৩২ শতাংশ। ভবিষ্যতে টিসিবির এই সক্রিয় ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।’