পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সাধারণ বিমা খাতের কোম্পানি প্রগতি ইন্স্যুরেন্স গত ১৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ৩৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানিটি। এর পুরোটাই নগদ। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার প্রতি পাবেন সাড়ে তিন টাকা করে।
সোমবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ এই সিদ্ধান্ত নেয়।
২০০৭ সালেও কোম্পানিটি একই পরিমাণ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। তবে সেটি ছিল বোনাস শেয়ার। ১৯৯৬ সালে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর এটাই সর্বোচ্চ নগদ লভ্যাংশ তাদের।
গত বছর ৩০ শতাংশ নগদ, অর্থাৎ শেয়ার প্রতি ৩ টাকা করে লভ্যাংশ পেয়েছিলেন বিনিয়োগকারীরা।
গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছে ৫ টাকা ৭২ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ৪ টাকা ৭ পয়সা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ৬ বছরেও এত বেশি আয় করতে পারেনি কোম্পানিটি। ওয়েবসাইটে ২০১৬ সাল থেকে তথ্য দেয়া আছে।
আয়ের পাশাপাশি কোম্পানিটির সম্পদও বেড়েছে এই এক বছরে। গত ডিসেম্বর শেষে প্রগতির শেয়ারের বিপরীতে সম্পদ ছিল ৫৭ টাকা ৩২ পয়সা। আগের বছরের ডিসেম্বর শেষে সম্পদ ছিল ৫৩ টাাক ৫১ পয়সার।
যারা লভ্যাংশ নিতে চান, তাদেরকে শেয়ার ধরে রাখতে হবে আগামী ১০ মে। অর্থাৎ, সেদিন হবে লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট। লভ্যাংশ চূড়ান্ত করতে বার্ষিক সাধারণ সভা হবে আগামী ৬ জুন।
পুঁজিবাজারে যেসব বিমা কোম্পানি তালিকাভুক্ত, তার মধ্যে চলতি বছর যেসব কোম্পানি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, সেগুলোর মধ্যে শেয়ার প্রতি আয়ের দিক থেকে প্রগতি দ্বিতীয় অবস্থানে। শীর্ষে আছে গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স, যেটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৮ টাকা ৪৩ পয়সা। তবে এটি লভ্যাংশ দিয়েছে প্রগতির চেয়ে কম, শেয়ার প্রতি তিন টাকা বা ৩০ শতাংশ।
শেয়ার প্রতি আয় প্রগতির প্রায় সমান হলেও রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স এবার শেয়ার প্রতি আড়াই টাকা বা ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২০২০ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে বিমা খাতের শেয়ারদরে যে অস্বাভাবিক উত্থান দেখা দেয়, তার বাইরে ছিল না প্রগতিও।
এই দুই বছরে শেয়ারদর সর্বনিম্ন ছিল ৩২ টাকা ২০ পয়সা, সর্বোচ্চ ছিল ১৩২ টাকা। তবে মূল উত্থানটা হয় গত বছরের ২২ মার্চ থেকে। সেদিন শেয়ারদর ছিল ৪৪ টাকা ৪০ পয়সা।
ওই বছরের জুনের মাঝামাঝি সময় শেয়ারদর গত কয়েক বছরের সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছার পর থেকেই তা কমতে থাকে। লভ্যাংশ ঘোষণার দিন শেয়ার দর ছিল ৮২ টাকা ৭০ পয়সা।
পুঁজিবাজারে মন্দাভাবের মধ্যেও গত এক মাসে অবশ্য কোম্পানিটির শেয়ারদর কিছুটা বেড়েছে। এই সময়ে শেয়ারদর সর্বনিম্ন ছিল ৭০ টাকা ৪০ পয়সা।