টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালতে সোমবার দুপুরে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মাহমুদুল হক বিষয়টি নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সোমবার তিন জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের মাধ্যমে ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এ সময় ওসি প্রদীপ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালত ৭ এপ্রিল মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করেছেন।’
এর আগে ১৭ ফেব্রুয়ারি একই মামলায় একই আদালতে ওসি প্রদীপের স্ত্রী চুমকীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকি কারনের বিচার শুরু হয়।
২০২১ সালের ২৬ জুলাই ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন। এতে সাক্ষী করা হয় ২৯ জনকে।
পরে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর মামলাটির অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আদালত। এই মামলায় প্রদীপের স্ত্রী পলাতক।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় ছয় তলা বাড়ি, ষোলশহরের বাড়ি, ৪৫ ভরি সোনা, একটি প্রাইভেটকার, একটি মাইক্রোবাস, ব্যাংক হিসাব ও কক্সবাজারে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে চুমকির নামে। তার বিরুদ্ধে ২ কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পায় দুদক।
২০২০ সালের ২৩ আগস্ট দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর তৎকালীন সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন ওসি ও চুমকির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেন।
মামলায় এই দম্পতির বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়।