মাদারীপুরে যৌনাঙ্গ হারিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এক মাদ্রাসাছাত্র।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালে সোমবার দুপুরে তাকে ভর্তি করা হয়।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক কর্মকর্তা (আরএমও) রিয়াদ মাহমুদ।
১৭ বছরের ওই কিশোরের বাড়ি সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের চরগোবিন্দপুর এলাকায়।
মহিষেরচর সিনিয়র দাখিল মাদ্রাসার ওই ছাত্র বলে, ‘আমি যৌন সমস্যায় ভুগছিলাম। বিষয়টি পরিচিতদের জানালে আমাকে খুলনায় নিয়ে যাওয়া হয়। শহরের একটি দ্বিতল ভবনে নেয়া হয়। সেটি হাসপাতাল বা ক্লিনিক ছিল কি না তা নিশ্চিত হতে পারিনি। সেখানে চিকিৎসার নামে আমার যৌনাঙ্গ কেটে ফেলা হয়েছে।’
ছেলেটির দাবি, এ কাজটি করেছেন ট্রান্সজেন্ডার জুঁই। তাকে সহযোগিতা করেছে ভ্যানচালক নুরু নপ্তী। নুরুর মাধ্যমে তার সঙ্গে পরিচয় হয় জুঁইয়ের।
ছেলেটির নানি জানান, ভ্যানচালক নুরুর বাড়ি তাদের এলাকাতেই। তার সঙ্গে সখ্য ছিল তার নাতির। নুরুর ভ্যানে মঠেরবাজার এলাকার ট্রান্সজেন্ডার জুঁই ও তার অনুসারীরা বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করত। পরে নাতিকে জুঁইয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয় নুরু।
চিকিৎসার কথা বলে বৃহস্পতিবার জুঁই নুরুকে দিয়ে তাকে খুলনা জেলার একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অচেতন করে ছেলেটির যৌনাঙ্গ কেটে ফেলা হয়। জ্ঞান ফেরার পর বাসায় যাওয়ার জন্য কান্নাকাটি করে ইয়াসিন। শুক্রবার বিকেলে নুরু তাকে মাদারীপুর শহরের পানিছত্র এলাকায় ফেলে পালিয়ে যায়। বাড়িতে রেখে স্থানীয়ভাবে তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ভর্তি করা হয় সদর হাসপাতালে।
চিকিৎসাধীন ছেলেটি বলে, ‘আমার যা ক্ষতি হওয়ার হয়েছে, আমার মতো আর কোনো ভাইয়ের যেন এমন ক্ষতি না হয়। প্রশাসনের কাছে ওদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। আমরা গরিব মানুষ, মামলা করার মতো সামর্থ্য নেই। যদি পুলিশ সহযোগিতা করে তাহলে মামলা করব।’
সদর হাসপাতালের চিকিৎসক রিয়াদ মাহমুদ বলেন, ‘পুরুষাঙ্গ সম্পূর্ণ কাটা ছিল। সেখানে সেলাই করে পাইপ দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। এখন কিছুটা সুস্থ, তবে উন্নত চিকিৎসা করাতে হবে। আপাতত আমাদের পর্যবেক্ষণে রাখা আছে।’
মাদারীপুর সদর থানার পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) দীপংকর রোয়াজা বলেন, ‘ঘটনা শুনে আমরা হাসপাতালে পরিদর্শন করেছি। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।’