জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দুই মাসের মধ্যে এক আসামিকে পেপারবুক প্রস্তুতের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
এ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়রের সহকারী একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান জামিন আবেদন করেন। আবেদনের পর সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
জামিন আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. আমিনুল ইসলাম।
দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি।
আইনজীবী মো. আমিনুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়রের সহকারী একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খানের জামিন আবেদন করেছিলাম। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত দুই মাসের মধ্যে আমাদের পেপারবুক তৈরি করে নিয়ে যেতে বলেছেন।’
আসামি মনিরুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে এ মামলায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয় বিচারিক আদালত।
২০১৮ সালের ১৪ অক্টোবর থেকে তিনি জেলহাজতে আছেন। ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণা করেন পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর ড. মো. আকতারুজ্জামান।
রায়ে খালেদা জিয়া ছাড়া অপর তিন আসামি হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, তৎকালীন ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান এবং হারিছ চৌধুরীর একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না।
তাদের প্রত্যেককে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়, সঙ্গে ১০ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়।