ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে খুন হওয়া ফার্নিচার ব্যবসায়ী আতিকুর রহমান সুমনের শরীরে গুলি পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক।
মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার বিকেলে নিউজবাংলাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক সজীব পাল এ তথ্য জানিয়েছেন।
উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের বাঘাউড়া গ্রামে সোমবার ভোরে বসতঘর থেকে ২৮ বছর বয়সী সুমনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানিয়েছিল সুমন দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
নিহত সুমন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আলিপুর গ্রামের মৃত আবু মিয়ার ছেলে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঘাউড়া বাজারে তার ফার্নিচারের দোকান আছে। ওই গ্রামের একটি বাড়িতে কয়েক বছর ধরে ভাড়ায় ছিলেন তিনি।
মরদেহ উদ্ধারের পর সকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মোল্লা মোহাম্মদ শাহিন নিউজবাংলাকে জানিয়েছিলেন, সোমবার ভোরে সেহরি খেয়ে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় কেউ তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্তে সুমনের শরীরে গুলি পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক সজীব পাল। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘ময়নাতদন্তে আমরা কোনো গুলি পাইনি। এটি নিয়ে হাসপাতালে একটি বোর্ড মিটিং হবে। আলোচনা করে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হবে।’
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হত্যার ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। কীভাবে, কি কারণে এই হত্যা সংঘটিত হয়েছে দ্রুত তা উদঘাটন করা হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘সুমনের বুকে ছিদ্র ছিল। কিন্তু অন্য কোথাও ছিদ্র পাওয়া যায়নি। তাই কীভাবে হত্যার ঘটনা ঘটেছে ময়নাতদন্ত রিপোর্টের আগে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।’
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিক অবস্থায় এটি গুলি মনে হলেও লম্বা লোহা জাতীয় কোনো কিছু দিয়ে সুমনের বুকে আঘাত করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে সুমন হত্যার ঘটনায় এরই মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই সন্দেহভাজনকে আটকের কথা জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। এর মধ্যে সুমনের সঙ্গে থাকা তার ভাতিজা হিসাবে পরিচিত সোহেল রয়েছেন।