বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চবিতে রোজাহীন সবার খাবার একটি হলে

  •    
  • ৪ এপ্রিল, ২০২২ ১৪:৪১

জনি রায় নামের এক শিক্ষার্থী ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি, এত এত অব্যবস্থাপনা-নৈরাজ্যের স্বর্গরাজ্যে আমরা থাকি। স্বপ্নের মতো সবুজ ক্যাম্পাসে মায়া হরিণ হলে ভালো হতো। অন্তত ঘাস-লতাপাতা খেয়ে দিন পার করতাম।’

রমজান মাসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর ডাইনিং ও ক্যানটিন খোলা থাকে ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত। একই সঙ্গে দিনের বেলায় বন্ধ থাকে ক্যাম্পাসের প্রায় সব ঝুপড়ি দোকান ও হোটেল।

এতে বিপাকে পড়েছেন রোজা না রাখা মুসলিম ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা। অনেককেই বিস্কুট বা শুকনা খাবার খেয়ে দিন পার করতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের জন্য একটি হলের ক্যান্টিন খুলে দেয়া হবে।

রোজার সময় দিনের বেলা ডাইনিং ও ক্যানটিন বন্ধ রাখা নিয়ে ফেসবুকে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অনেক শিক্ষার্থী।

বিশ্বজিৎ রায় নামে এক শিক্ষার্থী লেখেন, ‘ক্যাম্পাস খোলা রেখেছে, ক্লাস চলছে আবার এইদিকে ডাইনিং অফ, ক্যাফেটেরিয়া অফ। তাহলে আমরা কোথায় খাব, কোথায় যাব?’

মেঘা কর্মকার বলেন, ‘চার বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে আছি। প্রত্যেক রোজায় বিষয়টা খুবই হীনমন্যতায় ভোগায় যে অন্য ধর্মের হয়ে কি দোষ করলাম? প্রথম বর্ষে তো কাউকে কিছু বলতে না পেরে এক সপ্তাহ না খেয়েই ছিলাম।’

কিছু শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন, কয়েকটি দোকান খোলা থাকলেও তারা অতিরিক্ত দাম রাখছেন।

বিপ্লব চন্দ্র দাস ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘ডাইনিংয়ে দুপুরের খাবার হচ্ছে না। ক্যাফেটেরিয়াগুলোও তাদের দরজা বন্ধ করে রেখেছে। হোটেলে খাবারের গলাকাটা দাম। সনাতন, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের দুপুরের খাবারের জন্য কী ভেবেছে আমাদের প্রশাসন?’

‘আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি, এত এত অব্যবস্থাপনা-নৈরাজ্যের স্বর্গরাজ্যে আমরা থাকি। স্বপ্নের মতো সবুজ ক্যাম্পাসে মায়া হরিণ হলে ভালো হতো। অন্তত ঘাস-লতাপাতা খেয়ে দিন পার করতাম,’ বলেন জনি রায়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও শহীদ আবদুর রব হলের প্রভোস্ট ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা প্রক্টরিয়াল বডির কাছে এসেছে। অন্য ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের জন্য সোহরাওয়ার্দী হলের ক্যানটিন খোলার জন্য বলেছি। মেয়েদের হলের বিষয়টা তাদের হলের প্রাধ্যক্ষরা দেখবেন।’

মেয়েদের চারটি হলের মধ্যে খালেদা জিয়া ও শামসুন্নাহার হলের ক্যানটিন দুপুরে খোলা রাখা হয়েছে।

খালেদা জিয়া হলের প্রাধ্যক্ষ সাইদুল ইসলাম সোহেল বলেন, ‘অন্য ধর্মাবলম্বীদের বিষয়টি আমাদের মাথায় ছিল। আমরা দিনেও হলের ক্যানটিন খোলা রেখেছি।’

এ বিভাগের আরো খবর