স্থানীয়দের সুবিধার কথা ভেবে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে সাধারণ মানুষের কাছে এই সেতু এখন ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঁদত্রিশিরা গ্রামের একটি খালের ওপর নির্মিত ওই সেতুটির দুই পাশে দীর্ঘদিনেও কোনো সংযোগ সড়ক হয়নি। এতে অন্তত ১০টি গ্রামের মানুষ ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে।
এলজিইডির অধীনে দেড় কোটি টাকায় নির্মিত এই সেতুটিতে এখন ঝুঁকি নিয়ে মই বেয়ে উঠে প্রতিদিন পারাপার হচ্ছে কয়েক হাজার মানুষ।
এমন ভোগান্তির কথা জানিয়ে দেড় বছর ধরে স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও ঠিকাদারকে অনুরোধ করেও কোনো সুফল পায়নি।
সেতুটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান শরীফ এন্টারপ্রাইজের মালিক ঠিকাদার ফয়েজ শরীফ দাবি করেছেন, পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ না দেয়ায় সংযোগ সড়ক করা সম্ভব হয়নি।
এলজিইডি অফিসের কর্মকর্তা ও স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, ১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে শরীফ এন্টারপ্রাইজ সেতুটি নির্মাণ করে। দেড় বছর আগে সেতু নির্মাণকাজ শেষ হলেও সে সময় এর সঙ্গে কোনো সংযোগ সড়ক করা হয়নি। ফলে ওই ইউনিয়নের সোমাইপাড়, নাঘিরপাড়, খাজুরিয়া, চাঁদত্রিশিরা, আস্করসহ প্রায় ১০ গ্রামের মানুষ ভোগান্তিতে আছেন। শিক্ষার্থীসহ কয়েক হাজার মানুষকে প্রতিদিন বাঁশের মই বেয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে সেতু পার হতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে বাগধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাবুল ভাট্টি বলেন, ‘সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য ঠিকাদারকে অসংখ্যবার তাগিদ দিলেও কোনো সুফল হয়নি। গত দেড় বছরেও মাটি ভরাটের কাজ শুরু না করায় সাধারণ মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।’
ঠিকাদার ফয়েজ শরীফ বলেছেন, ‘সেতু নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। তবে সেতুর এক পাশে একটি পুকুর থাকায় সেটি ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করতে অতিরিক্ত বরাদ্দের প্রয়োজন। এর জন্য এলজিইডিতে অতিরিক্ত বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে।’
সেতুটি সচল করতে প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী শিপলু কর্মকার। তিনি বলেন, ‘দুই পাশের সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজ শুরু করার জন্য ঠিকাদারকে বলা হয়েছে। সড়ক তৈরি হলে সেতুতে মানুষের যাতায়াতে আর সমস্যা থাকবে না।’