নোয়াখালীর চাটখিলে নিখোঁজের ১০ দিন পর মরদেহ উদ্ধার করা সেই শিশুটিকে ধর্ষণ করে হত্যার পর আবারও ধর্ষণ করেন তার চাচাতো ভাই। আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে এ কথা জানিয়েছেন ওই যুবক।
নোয়াখালীর মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক নবনীতা গুহের আদালতে রোববার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ১৬৪ ধারায় শাহাদাত হোসেনের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। এরপর তাকে জেলা কারাগারে পাঠান বিচারক।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গিয়াস উদ্দিন নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘শাহাদাত স্বীকারোক্তিতে জানান, ২৪ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে তিনি তার পাঁচ বছরের চাচাতো বোনকে ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে শিশুটি চিৎকার শুরু করলে তিনি নাক-মুখ চেপে ধরে হত্যা করেন। হত্যার পর তাকে আবারও ধর্ষণ করেন।
‘এরপর শিশুটিকে বস্তায় ভরে প্রথমে নিজের খাটের নিচে লুকিয়ে রাখেন। পরে সন্ধ্যার দিকে পাশের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেন।’
পরদিন শিশুটির বাবা চাটখিল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ১ এপ্রিল রাতে শাহাদাতকে সন্দেহভাজন হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ থানায় নিয়ে যায়।
জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি ওই শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেন। শাহাদাতের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সেপটিক ট্যাংক থেকে শনিবার রাত ১১টার দিকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রোববার সকালে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে দাফন করা হয়েছে।
ওসি গিয়াস উদ্দিন জানান, মরদেহ উদ্ধারের পর শিশুটির বাবা শাহাদাতকে আসামি করে অপহরণ, ধর্ষণ, হত্যা ও লাশগুমের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এই মামলায় শাহাদাতকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হয়।