বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া জেলে যাওয়ার পর তিন বার এতিম-ওলামা-মাশায়েখদের নিয়ে ইফতার আয়োজন করে আসছে দলটি। গত বছরও ইফতার আয়োজনে মঞ্চে খালেদা জিয়ার সম্মানে একটি চেয়ার খালি রাখে দলটির নেতারা। তবে এবার খালেদা জিয়া বাড়িতে অবস্থান করলেও তার সম্মানে কোনো চেয়ার খালি রাখা হয়নি ইফতার আয়োজনে।
দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের সাজা পাওয়া সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর সাজা স্থগিত করে সরকার। কয়েক দফা সাজা স্থগিতের পর গত মাসে আবারও ৬ মাস বাড়ানো হয় স্থগিতের মেয়াদ। ফলে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি কারাগারের বাইরে থাকবেন।
মাঝে বেশ কিছুদিন অসুস্থ থাকায় খালেদা জিয়া হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এখন রয়েছেন তার গুলশানের বাসায়। তিনি কিছু নেতার সঙ্গে দেখা করলেও কোনো রাজনৈতিক কাজে সরাসরি যুক্ত হচ্ছেন না।
রোববার রাজধানীর লেডিস ক্লাবে ওলামা মাশায়েখ ও এতিমদের সম্মানে বিএনপি একটি ইফতার মাহফিল আয়োজন করে।
সেখানে খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি, সুস্থতার জন্য দোয়া করা হয়। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদেও বক্তব্য দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘সরকার দেশ পরিচালনায় ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম রমজানে দ্রব্যমূল্য কমবে, না কমলেও বাড়বে না। কিন্তু প্রত্যেকটি জিনিসের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে।’
‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আমরা দল ও জনগণের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আজ অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় গৃহবন্দি আছেন। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদের ৮ হাজার মাইল দূরে অবস্থান করছেন।
‘রমজানে আল্লাহর কাছে দোয়া করি, তিনি যেন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে দেন, তিনি যেন সুস্থ করে দেন এবং আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে দেন।’
ইফতার মাহফিলে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, শায়রুল কবির খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।