শিল্প কারখানায় বয়লার দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমাতে সংসদে নতুন একটি আইন পাস হয়েছে। এতে নিয়ম না মেনে বয়লার চালালে দুই বছরের কারাদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
রোববার শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন ‘বয়লার বিল ২০২১’ নামে এই বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে সেটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বিলটির ওপর দেয়া জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন।
২০২১ সালের ১৪ নভেম্বর বিলটি সংসদে তোলা হয়। পরে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দিতে শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিলে বলা হয়েছে, বয়লার মেরামত করতে হলে প্রধান বয়লার পরিদর্শককে লিখিতভাবে জানাতে হবে। না জানিয়ে মেরামত করা হলে এক বছরের জেল বা এক লাখ টাকা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।
বিলে বয়লারের নিবন্ধন নম্বর অপসারণ, পরিবর্তন, বিকৃত বা অদৃশ্য করে অন্য বয়লার ব্যবহার করলে দুই বছরের কারাদণ্ড, দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
এছাড়া সনদ ছাড়া বয়লার চালালে সর্বোচ্চ দুই বছরের জেল বা দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
বিলে নিয়মের বাইরে কেউ বয়লার তৈরি বা আমদানি করলে দুই বছরের জেল ও দুই লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
আর নিয়মের বাইরে গিয়ে বয়লার ব্যবহার করলে বা কাউকে ব্যবহারের অনুমতি দিলে সর্বোচ্চ দু্ই বছরের জেল এবং দুই লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
বিলে আরও বলা হয়েছে, দুর্ঘটনার জন্য বয়লার ব্যবহারকারী, পরিচালনাকারী বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি ওই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী হবেন। দুর্ঘটনার ক্ষতিপূরণ দায়ী ব্যক্তির কাছ থেকে আদায় করা হবে। তবে দুর্ঘটনা রোধে কেউ যুক্তিসঙ্গত ব্যবস্থা নিয়েছেন- এমনটি প্রমাণ করতে পারলে তিনি দায়ী হবেন না।
বিলে বলা হয়েছে, আইনের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য প্রধান বয়লার পরিদর্শক এবং বয়লার পরিদর্শক থাকবেন। সার্বিক তত্ত্বাবধানে একটি বয়লার বোর্ড থাকবে, সেখানে একজন চেয়ারম্যান এবং সাত জন সদস্য থাকবেন। সদস্যদের মেয়াদ হবে তিন বছর। প্রধান পরিদর্শক শুনানির সুযোগ দিয়ে এক লাখ টাকা এবং দ্বিতীয়বার এই অপরাধ করার জন্য দ্বিগুণ জরিমানা করতে পারবেন।