সংসদে উত্থাপিত গণমাধ্যমকর্মী (চাকরি শর্তাবলি) আইন, ২০২২ পাস হলে সাংবাদিকরা গভীর সংকট ও অনিশ্চয়তায় পড়বেন বলে মনে করে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এ কথা জানিয়েছে সাংবাদিকদের সংগঠনটি।
শুক্রবার বিএফইউজের নির্বাহী পরিষদের সভায় সংগঠনের নেতারা বলেন, এই আইনে সাংবাদিকদের বিদ্যমান অধিকাংশ সুযোগ-সুবিধা কেটে অর্ধেকের নিচে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করা হয়েছে।
১৯৬১ সাল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত বহাল সুযোগ-সুবিধা দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রেক্ষাপটে দ্বিগুণ হওয়ার কথা বলেও মনে করেন তারা।
একটি সুগভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সাংবাদিক সমাজে অস্থিরতা তৈরিতে আইনটি পাস করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছে সংগঠনটি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘একটি অগ্রহণযোগ্য আইন নেতাদের বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও সংসদে উপস্থাপিত হয়েছে।’
আইন প্রণয়নের জাতীয় সংসদের চলমান অধিবেশনে উত্থাপিত বিলটি প্রত্যাহার করে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনা করে যুগোপযোগী আইনে পরিণত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএফইউজে।
সংগঠনটির সভাপতি ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব দীপ আজাদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এ ভার্চুয়াল সভায় নেতাদের মধ্যে মনজুরুল আহসান বুলবুল, মধুসূদন মণ্ডল, খায়রুজ্জামান কামাল অংশ নেন।
এ ছাড়া বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন আঙ্গুর নাহার মন্টি, আব্দুস সালাম, আমির হোসাইন স্মিথ, আতাউল করিম খোকন, মীর গোলাম মোস্তফা, মোহাম্মদ আলী, ম. শামসুল ইসলাম, আবু তাহের, জাহেদ সরওয়ার সোহেল, রফিকুল ইসলাম, তানজিমুল হক, জে এম রউফ, আফরোজা আক্তার ডিউ, এইচ আর তুহিন, ওয়াহেদুল আলম আর্টিস্ট, রাশেদ রিপন, হেদায়েত হোসেন মোল্লা।