সমুদ্রাঞ্চলের ব্লকগুলোতে গ্যাস অনুসন্ধানের সক্ষমতা দেশীয় কোম্পানি বাপেক্সের নেই বলে জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। বলেছেন, এ জন্যই আন্তর্জাতিক কোম্পানির মাধ্যমে করা হয়ে থাকে।
একাদশ জাতীয় সংসদের ১৭তম অধিবেশনে আজ রোববার জাতীয় পার্টির মুজিবুল হকের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘অগভীর এবং গভীর সমুদ্রাঞ্চলে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও উৎপাদন কার্যক্রম উচ্চ প্রযুক্তিনির্ভর, অত্যধিক ব্যয়বহুল ও ঝুঁকিপূর্ণ বিধায় উৎপাদন বণ্টন চুক্তির (পিএসসি) আওতায় আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানির মাধ্যমে করা হয়ে থাকে।
‘পেট্রোবাংলার আওতাধীন দেশীয় অনুসন্ধান কোম্পানি বাপেক্সের স্থলভাগে সক্ষমতা থাকলেও সমুদ্রাঞ্চলে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও উৎপাদন বিশেষভাবে প্রযুক্তিনির্ভর ও ব্যয়বহুল হওয়ায় সে সক্ষমতা নেই।’
জাতীয় পার্টির আরেক সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশে বিদ্যুতের উৎপাদনক্ষমতা এখন ২৫ হাজার ৫১৪ মেগাওয়াট। বর্তমানে বিদ্যুতের চাহিদা গড়ে প্রতিদিন ১৩ থেকে সাড়ে ১৩ হাজার মেগাওয়াট।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, এলএনজি আমদানিতে ২০২১-২২ অর্থবছরে পেট্রোবাংলাকে চার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি/অনুদান দেয়া হয়েছে। চলতি অর্থবছরে এলএনজি আমদানিতে চাহিদার পরিমাণ ২৩ হাজার ৩৬৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।
বেনজীর আহমদের প্রশ্নের উত্তরে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানান, বিদ্যুৎব্যবস্থার আধুনিকায়ন, সুষ্ঠু ও মানসম্মত বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য দেশের বড় বড় শহর এলাকায় বিদ্যুতের তার মাটির নিচ দিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকায় ডিপিডিসি ১ হাজার ২৮৭ কিলোমিটার ও ডেসকো ১ হাজার ৩৬৬ কিলোমিটার, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটে ৩৮ কিলোমিটার, নেসকো রাজশাহী ও রংপুরে ১১ কিলোমিটারসহ প্রায় ২ হাজার ৭০২ কিলোমিটার লাইন মাটির নিচে নিয়ে গেছে।