ফলের চাহিদা সারা বছর থাকলেও রমজানজুড়ে চাহিদা আরও বাড়ে। বাড়তি চাহিদার কথা বিবেচনায় চট্টগ্রামের ফল বিক্রেতারাও নিয়েছেন প্রস্তুতি।
তবে ফলের দাম গত সপ্তাহের চেয়ে এখন বেড়েছে বলে জানান তারা।
কয়েকজন ফল ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অন্যান্য পণ্যের মতো ফলের দামও বেড়েছে। এতে ক্রেতার সংখ্যা আগের চেয়ে কমেছে। রোজা উপলক্ষে ফলের মধ্যে তরমুজ, আনারস, কলা, বেল, আপেল ও মাল্টার চাহিদা বেশি বলে জানান তারা।
নগরীর ষোলশহর ২ নম্বর গেট এলাকার কর্ণফুলী বাজার ঘুরে দেখা যায়, মাল্টা বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০ টাকা। আপেলের দাম বেড়েছে কেজিতে প্রায় ৪০ টাকা, বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে।
নাশপাতি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। আঙ্গুর ও আনার বিক্রি হিচ্ছে কেজিপ্রতি ২২০ থেকে ২৫০ টাকায়।
চাহিদার শীর্ষে থাকা তরমুজ বিক্রি হচ্ছে পিস হিসেবে। বিভিন্ন সাইজ অনুযায়ী তরমুজ ১২০ থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে দাম বেড়েছে কলারও। প্রতি ডজন কলার দাম ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। আনারস বিক্রি হচ্ছে সাইজ অনুযায়ী জোড়া ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। বেলও একই দামে বিক্রি হচ্ছে।
এ সময় সাহাব উদ্দীন নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘রমজানে ফলের চাহিদা ব্যাপক থাকে। এ সুযোগে দামও বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে এত কেন বেড়েছে বুঝতে পারছি না।’
জান্নাত ফল বিতানের মালিক মোহাম্মদ গফুর জানান, ফলের দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন আগের মতো ক্রেতা নেই। আড়তদার থেকে প্রত্যেকটি ফল বেশি দামে কিনতে হচ্ছে তাই বিক্রিও বেশি দামেই করতে হচ্ছে।
বিসমিল্লাহ ফল বিতানের মালিক হুমায়ুন কবির বলেন, ‘রোজায় শরবতের চাহিদা থাকে ভালো। তাই আনারস, তরমুজ, বেল, মাল্টা এগুলো তুলনামূলক বেশি বিক্রি হয়। এর বাইরে ইফতারে আপেল-কলার আলাদা চাহিদা থাকে। দামও ওঠানামার মধ্যে।’
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৮ নম্বর শুলকবহর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মোরশেদ আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাজারের দাম নিয়ন্ত্রণে আমাদের পক্ষ থেকে কিছু করার নেই। তবে ওজন ও মানহীন পণ্য বিক্রি বন্ধে আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম রমজানেও চলমান আছে৷’