যুক্তরাষ্ট্র সব সময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে বলেছেন ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস।
রোববার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
করোনা মহামারির কারণে সৃষ্ট স্বাস্থ্যগত ও আর্থ-সামাজিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ গৃহীত পদক্ষেপ এবং টিকা কার্যক্রমের প্রশংসা করেন যুক্তরাষ্ট্রের দূত।
অর্থমন্ত্রী তাকে বলেন, বাংলাদেশের ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক ব্যবসা ও বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রেও বিস্তৃত হয়েছে।
কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ভ্যাকসিনসহ বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী বাংলাদেশের অগ্রগতি তুলে ধরেন। বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন আর উন্নয়ন মিরাকল নয়, বরং অন্যদের জন্য রোল-মডেল।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫১ বছর পার করেছে। এ সময়ে অর্থনৈতিকভাবে দেশ অনেক এগিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত এক দশকে অর্থনীতির ক্ষেত্রে বিশ্বে বাংলাদেশ এক নতুন উচ্চতায় অবস্থান নিয়েছে।
‘অর্থনীতির আকারে বর্তমান বিশ্বে ৪১তম বাংলাদেশ যা ২০০৬ সালে ছিল ৬০তম।
‘স্বাধীনতার পরে আমাদের অর্থনীতি জিডিপিতে ১০০ বিলিয়ন ছাড়াতে সময় লেগেছিল ৩৮ বছর, গত ১২ বছরে তা চারগুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৪১১ বিলিয়ন দাঁড়িয়েছে।’
এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার এখনই সময় বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী। বলেন, ‘বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ খুবই ভালো। এখানে বিনিয়োগ লাভজনক এবং বিনিয়োগের জন্য উত্তম স্থান।’
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিনও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।