ফরিদপুরে স্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগে অ্যাসিড ছুড়ে রানা শেখ নামের এক যুবকের মুখ ঝলসে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের গুহলক্ষ্মীপুর মহল্লা এলাকার দারিকানাথ হিন্দু ছাত্রাবাস এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৩৬ বছর বয়সী রানা আলীপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি এলাকায় ‘টোকাই রানা’ হিসেবে পরিচিত।
অপরদিকে যার বিরুদ্ধে অ্যাসিড ছোড়ার অভিযোগ পাওয়া গছে তার নাম মো. রিপন। তার বয়স ৩৭। তিনি গুহলক্ষ্মীপুর মহল্লার বাসিন্দা। এলাকায় তিনি ‘টাকি রিপন’ নামে পরিচিত।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, ‘রানা ও রিপন বন্ধু। তার দুজন চাঁদাবাজি, মাদকসহ বিভিন্ন অসামাজিক কাজে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
‘সম্প্রতি মাদক মামলায় দুজনই কারাগারে ছিলেন। তবে রানা জামিনে আগে বের হয়ে আসার সুবাদে রিপনের স্ত্রীর সঙ্গে বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরবর্তীকালে রিপন কারাগার থেকে বের হয়ে বিষয়টি জানতে পারেন।’
ওসি আরও বলেন, ‘শনিবার রাতে রিপন মোবাইল ফোনে গুহলক্ষীপুর এলাকায় রানাকে ডেকে আনেন। পরে তাদের মধ্যে প্রথমে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রানার মুখে অ্যাসিড ছুড়ে মারেন। এতে রানার মুখ ঝলসে যায়। আহত রানার চিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।’
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক সাইফুল রহমান বলেন, ‘শনিবার রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে রানাকে ভর্তি করা হয়।’
মেডিক্যাল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক রতন সাহা দুপুরে বলেন, ‘রোববার দুপুর একটার দিকে কিংবা তার আগে বা পরে রানা তার চিকিৎসার ফাইলপত্রসহ হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছে। তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’
এ প্রসঙ্গে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, ‘বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের জেরে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে রানা নামে এক ব্যক্তির মুখে অ্যাসিড নিক্ষেপ করে রিপন। তারা দুজনই মাদকসহ একাধিক মামলার আসামি। বেলা ৩টা পর্যন্ত এ ব্যাপারে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়নি।’
দুই বন্ধুই পলাতক থাকায় তাদের সঙ্গে আরও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।