রমনা বটমূলে বোমা হামলার ঘটনায় হওয়া বিস্ফোরক আইনের মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের তারিখ ১০ এপ্রিল ঠিক করেছে আদালত।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবু আব্দুল্লাহ ভুঞা।
রোববার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ শুনানিতে সাত আসামি নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন। অপর আসামিরা পলাতক থাকায় তারা নির্দোষ দাবি বা আত্মপক্ষ শুনানি করতে সমর্থ হননি।
পরে আদালত ১০ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য তারিখ ঠিক করে।
এর আগে ২১ মার্চ মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। ২৭ মার্চ আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য তারিখ ঠিক করা হয়। এদিন আসামি পক্ষে আইনজীবী মিজানুর রহমান ও ফারুক আহাম্মদ সময়ের আবেদন করেন। পরে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ৩ এপ্রিল নতুন করে তারিখ রাখা হয়।
মামলাটিতে ৮৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন করেছে আদালত।
২০০৯ সালের ১৬ এপ্রিল মামলাটিতে আদালত অভিযোগ গঠন করেন। ওই সময় বিস্ফোরক আইনের ৩ ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৬ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়। তাই ৩ ধারার সঙ্গে ৬ ধারা যুক্ত করে এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৬ ধারার প্রয়োজনীয়তা না থাকায় সেটি বাদ দিয়ে অভিযোগ গঠন করা হয়।
এই ঘটনায় হত্যা মামলায় একই সংখ্যক আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ২০১৪ সালের ২৩ জুন রায় ঘোষণা করে আদালত। রায়ে মুফতি হান্নানসহ আটজনের মৃত্যুদণ্ড এবং অপর ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন আরিফ হাসান সুমন, শাহাদত উল্লাহ ওরফে জুয়েল, আবু তাহের, আ. রউফ, আকবর হোসাইন ওরফে হেলালউদ্দিন, মো. তাজউদ্দিন, সাব্বির ওরফে আব্দুল হান্নান সাব্বির, শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, জাহাঙ্গীর আলম বদর, আবু বকর ওরফে সেলিম হাওলাদার, শফিকুর রহমান, ইয়াহিয়া ও আব্দুল হাই।
২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় ১০ জন নিহত ও বহু লোক আহত হন। ২০০৮ সালের ৩০ নভেম্বরে ১৪ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি।