বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রথম রোজায় চট্টগ্রামের বাজারে যে চিত্র

  •    
  • ৩ এপ্রিল, ২০২২ ১৬:২৪

রেয়াজউদ্দিন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ১৬০ টাকা কেজিতে ধনেপাতা বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহেই প্রতি কেজি ধনেপাতার দাম ছিল ৬০ টাকা। প্রতি ডজন এলাচি লেবুর দাম ১৬০ টাকা এবং কাগজি লেবু ১১০ টাকা। গত সপ্তাহে এলাচির লেবুর দাম ২০ টাকা কম ছিল।

‘রমজানে সারা বিশ্বে পণ্যের দাম কমে আর এ দেশে তার উল্টো। ব্যবসায়ীরা ভোক্তাদের সঙ্গে রীতিমতো জুলুম করছে। এরা সৃষ্টিকর্তার কাছে কী জবাব দেবে?’

বাজারে এসে পণ্যের দাম নিয়ে এভাবে নিজের ক্ষোভ জানান চট্টগ্রামের নন্দনকাননের রহমান এলাহী।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে চট্টগ্রামের কাঁচাবাজারে লেবু, পুদিনা ও ধনেপাতার দাম বেশ বেড়েছে। অন্য সবজির দামও বাড়তির দিকে। রমজানের প্রথম দিন বাজারে এসে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত অনেক ক্রেতাকে দাম নিয়ে ক্ষোভ জানাতে দেখা গেছে।

চট্টগ্রাম নগরীর চৌমুহনী বাজারের সামনেই রোববার সকালে কাঁচা মরিচ বিক্রি করছিলেন পঞ্চাশোর্ধ্ব আলী হোসেন। প্রতি কেজি মরিচের দাম জানান ৮০ টাকা। তবে গত সপ্তাহেই বিক্রি করেছেন ৫০ টাকায়।

আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রমজান আসলেই মরিচের দাম বাড়া নিয়ম হয়ে গেছে। আমরা আড়ত থেকে কিনে আনি। তাই দামের ওঠানামা আমাদের হাতে নেই।’

রেয়াজউদ্দিন বাজারে গিয়ে দেখা যায় ১৬০ টাকা কেজিতে ধনেপাতা বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহেই প্রতি কেজি ধনেপাতার দাম ছিল ৬০ টাকা।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিগুণের চেয়ে বেশি দামে বিক্রির বিষয়ে বিক্রেতা নূর আহমেদ বলেন, ‘রোজায় ইফতার তৈরিতে সালাদের অন্যতম আইটেম ধনেপাতা। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দামও বাড়তি।’

রমজান মাসে রোজাদারদের মাঝে লেবুর শরবতের ব্যাপক চাহিদা থাকে। চাহিদার সঙ্গে প্রতি রমজানে দামও বেড়ে যায়।

রেয়াজউদ্দিন বাজারে প্রতি ডজন এলাচি লেবুর দাম ১৬০ টাকা এবং কাগজি লেবু ১১০ টাকা। গত সপ্তাহে এলাচির লেবুর দাম ২০ টাকা কম ছিল।

লেবু বিক্রেতা সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘এখন লেবুর মৌসুম না। তাই দাম বাড়তি। বৃষ্টি শুরু হলে লেবুর দাম ডজন প্রতি ৩০ থেকে ৪০ টাকা কমে যাবে।’

আরেক লেবু বিক্রেতা আবু বক্কর জানান, রমজান ও গরম একসঙ্গে হওয়ায় লেবুর চাহিদা বেশি। তাই স্বাভাবিকভাবেই দাম বেড়েছে।

পুদিনা পাতা বিক্রি হচ্ছে গত সপ্তাহের চেয়ে ৪০ টাকা বেশিতে ১৬০ টাকা কেজি দরে।

বাজারে ব্যাপক সরবরাহ রয়েছে শসার। তবে দেশি খিরা বেশ কম। প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় আর দেশি খিরা ৭০ টাকায়। গত সপ্তাহেই শসার দাম ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা এবং খিরার দাম ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। তবে টম্যাটোর দাম একই আছে। প্রতি কেজি ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শসা বিক্রেতা মোহাম্মদ রকিব জানান, তিন দিন আগে থেকেই শসা, খিরার দাম বাড়তির দিকে। আড়ত থেকেই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।

ইফতারির জনপ্রিয় আইটেম বেগুনি। রমজান এলে বেগুনের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। রোববার শহরের বাজারে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। শুক্রবার বিক্রি হয়েছিল ৪০ থেকে ৬০ টাকায়।

সবজির পাশাপাশি মাংসের বাজারও চড়া। হাড় ছাড়া গরুর মাংস ৭৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। দুই দিন আগেও যা পাওয়া গেছে ৭৫০ টাকায়।

ছোট সাইজের ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকা কেজি দরে। বড় সাইজেরগুলো ১৭০ টাকায়। সোনালি মুরগি ৩২০ টাকা এবং পাকিস্তানি লেয়ার মুরগি ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ অভিযোগ করে রফিক আনসারী নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘দেশের মানুষ কী পরিমাণ কষ্টে আছে তা বাজারে এলে বোঝা যায়। ৫০০ টাকা নিয়ে এলে মাছ কিনে আর সবজি কেনার টাকা থাকে না। সরকার ব্যবসায়ীদের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে। কোথাও কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।’

রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন তদারকি জোরদার করেছে জানিয়ে জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রমজান উপলক্ষে ১ এপ্রিল থেকে মনিটরিং টিম মাঠে কাজ করছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে পাঁচটি টিম প্রতিদিন মাঠে থাকবে। তারা পুরো রমজান মাস নগরের বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজার মনিটরিং করবে।’

এ বিভাগের আরো খবর