বিএনপি সরকার পতনের আন্দোলন নিয়ে কথা বললে বানরও হাসে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘যারা পুরুষ হয়ে বোরকা পরে হাইকোর্টে গিয়ে জামিন চায়, তারা যখন সরকার পতনের আন্দোলনের কথা বলে মানুষও হাসে, বানরও হাসে। তাদের এগুলো খালি কলসি বেশি বাজার মতো, আমরা এগুলো বহুদিন ধরে শুনে আসছি।’
সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে রোববার সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
নিত্যপণ্যের দামের ইস্যুকে খরকুটোর মতো আঁকড়ে ধরতে বিএনপি চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য সারা পৃথিবীতেই বেড়েছে। শ্রীলঙ্কার অবস্থা দেখুন। ভারত, পাকিস্তান, ইউরোপ, আমেরিকা সব জায়গায় দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। এর মূল কারণ হলো করোনা এবং সাম্প্রতিক রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ।
‘ইউরোপে খাদ্য ও ভোগ্যপণ্যের দাম কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। অন্যান্য দেশেও একই অবস্থা। আমাদের দেশেও কিছু কিছু বেড়েছে। যেগুলো মূলত আমদানিনির্ভর পণ্য সেগুলোরই দাম বেড়েছে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘স্বল্প আয়ের মানুষ যাতে কষ্ট না পায় এ জন্য এক কোটি ফ্যামিলি কার্ড টিসিবির মাধ্যমে ঢাকার বাইরে মালামাল বিক্রি করা হচ্ছে। এতে বাজারেও প্রভাব পড়েছে। যে পণ্যগুলোর মূল্য বেড়ে গিয়েছিল সেগুলোর দাম কমে এসেছে। যেমন তেলের মূল্য কমেছে, পেঁয়াজের মূল্য কমেছে। বিএনপি আসলে কোনো ইস্যু পাচ্ছে না, তাই খরকুটো আঁকড়ে ধরে তাদের রাজনীতি টিকিয়ে রাখতে চায়।
‘যতই পতনের আন্দোলন বলেন, এই পতনের আন্দোলন তো ২০০৯ সাল থেকে শুরু করেছে। এরপর জনগণ আরও দুবার ভোট দিয়ে আমাদের দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছেন। আগামী নির্বাচনেও বিজয়ের মাধ্যমে দেশ চালানোর দায়িত্ব জনগণ আমাদের দেবে, সেটিই আমরা বিশ্বাস করি।’
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিএনপির জোটবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা সম্পর্কে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এ ধরনের মোর্চা তারা ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে করেছিল। বাম, ডান, অতি ডান, অতি বাম, তালেবান সবাইকে নিয়ে তারা মোর্চা করেছিল। নির্বাচনেও অংশ নিয়েছিল সেই মোর্চার মাধ্যমে। ফলাফল মাত্র পাঁচটি আসন।
‘এবারও তারা মোর্চা করার চেষ্টা করছে, প্রেসিডেন্ট আছে তো সেক্রেটারি নাই এ রকম দল। দুজন নিয়ে দল, নামসর্বস্ব দল। এগুলো নিয়েই তারা মোর্চা করার চেষ্টা করছে। এটা চেষ্টা করা ভালো। কোনো কিছু চেষ্টার মধ্যে থাকা ভালো। তারা চেষ্টার মধ্যে থাকুক এটিই আমি প্রত্যাশা করি। তবে তাদের এ চেষ্টায় কোনো লাভ হবে না।’