চাহিদা বাড়ায় রাজধানীর বাজারে হঠাৎ করে বেড়েছে বেগুন ও শসার দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে কমপক্ষে ৩০ টাকা দাম বেড়েছে এ দুটি সবজিতে। বেড়েছে কাঁচামরিচ ও গাজরের দামও।
কারওয়ান বাজারে খুচরায় অন্যান্য বাজারের চেয়ে কিছুটা কম দামে সবজি পাওয়া যায়। তবে সে বাজারেও প্রতি কেজি বেগুন-শসা বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকায়।
কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা শামসুল আলম বলেন, ‘দুই দিন আগেও প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি করেছি ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। এখন আমাগো কেনাই পড়তেছে ৬০ টাকার উপরে। শসারও একই দাম, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০ টাকা।’
তিনি বলেন, ‘রোজার ইফতারে তো সবাই পেয়াজু ও বেগুনি খায়। এর মধ্যে ডালতো কাস্টমার আগেই কিনেছে। বেগুন দুই-এক দিন পর পর কেনন লাগে। এখন সিজন শেষের দিকে, বাজারে বেগুনও একটু কম, আবার চাহিদাও বেশি, তাই দাম বাড়ছে। কাঁচামরিচের কেজিও তো ২০ টাকা বাড়তি। ৮০ টাকা করে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
বাজারে রোজায় বেশি চাহিদা থাকে এমন সবজির মধ্যে টম্যাটো আগের মতোই ২৫ থেকে ৩০ টাকা, গাজর ৫ টাকা বেড়ে ৪০ টাকা, আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে বেগুনের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি। তেজগাঁও বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. স্বাধীন বলেন, ‘আগে বেগুনের পাল্লা ছিল দেড় শ টাকা, এই বেগুন আমগো কিনে আনতে হইছে ৬০০ টাকা পাল্লায়। কারও কাছে ৮০ টাকায় বেচি, কারও কাছে ৮৫ টাকা। কিছু বেগুন নষ্টও থাকে, আবার মাপে ৪২ টাকা হলে দাম হইলে তো কাস্টমার দুই টাকা দেয় না।’
রোজায় শরবত করতে ব্যবহার হয় লেবু, এতে পুরো মাসই লেবুর চাহিদা থাকে বেশি। এখনও বাজারে লেবুর দাম বাড়তি। ছোট আকারের এক হালি লেবু কিনতেও ক্রেতাদের ২৫ থেকে ৩০ টাকা গুনতে হচ্ছে। বড় আকারে লেবুর হালি ৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
মুদি দোকানে প্রতি কেজি ছোলা ৭৫ থেকে ৮০, দেশি ছোট মসুর ডাল ১৩৫ থেকে ১৪০, বড় দানা ১০৫ থেকে ১১০, মাঝারি দানা ১১৫ থেকে ১২০ টাকা, মুগডাল ১৩০ টাকা, অ্যাংকর ডাল ৬০, চিনি ৭৫ থেকে ৮০ এবং লবণ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।
মাংসের বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৬০-১৬৫ টাকা, সোনালি মুরগির দাম গত কয়েক দিনেই বেড়েছে রাজধানীতে, এখন প্রতি কেজি সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায়, লেয়ার মুরগি ২৩০ থেকে ২৩৫ টাকা, গরুর মাংস ৬৫০ -৭০০ টাকা, খাসি ৯৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।