বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘তোরে আমি নেতা বানাইছি, তুই আমার বিরোধিতা করোস’

  •    
  • ৩ এপ্রিল, ২০২২ ১৫:০৩

২০১৯ সালেও সুহেলের বিরুদ্ধে বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিনকে জুতাপেটার অভিযোগ উঠেছিল।

‘তোরে উপজেলা বিএনপির সেক্রেটারি আমি বানাইছি। আমি নেতা বানাইছি। তোরে কেগুয়ে (কে) চিনত? তুই আমার লগে বিরোধিতা করোস। তুই মনে করোস জানাইয়ার পুয়াইনতে (ছেলেরা) তরে বাঁচাইলিবা? একদিন তোরে ধরা পড়তে অইব।’

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে এভাবে বলতে শোনা যায় সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি সুহেল আহমদ চৌধুরীকে। বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও অলংকারী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান লিলু মিয়াকে তিনি এসব বলেন।

সুহেল আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এখন ক্ষমতায়। তাদের সঙ্গে পুলিশ থাকে। না হলে তাদেরও এমন শিক্ষা দিতাম।’

এরপর লিলুকে গালাগালের একপর্যায়ে জুতা খুলে পেটাতে শুরু করেন। এ সময় তিনি তার সঙ্গে থাকা লোকদের বলেন, ‘তুলো, ভিডিও তুলো।’

স্থানীয়রা জানান, বিশ্বনাথ পৌর শহরের পুরান বাজারের থানা মসজিদের সামনে শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

শনিবার এ ঘটনায় মারধর ও চুরির অভিযোগে সুহেল ও যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলমের নামে মামলা করেন লিলু মিয়া। মামলায় আরও সাত থেকে আটজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।

লিলু মিয়া রোববার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি একটা সালিশ থেকে ফেরার সময় তার বাড়ির সামনে এমন আচরণ করেছে। সুহেলের সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ বা লেনদেন নেই। সে এখন আমার দলেরও কেউ নয়। আমি এ ঘটনার ন্যায়বিচার চাই।’

তবে সুহেলের দাবি, ‘আমরা দুজন একই বাসে বিশ্বনাথ থেকে সিলেট যাচ্ছিলাম। ভাড়া নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে বাসের কন্ডাক্টর লিলু মিয়াকে থাপ্পড় মারে। লিলু ভাড়া দিতে না চাওয়ায় আমি তাকে বাস থেকে নামিয়ে দেই। ভিডিওতে কী আছে আমি জানি না।’

বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘লিলু মিয়া সুহেল আহমদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।’

২০১৯ সালেও সুহেলের বিরুদ্ধে বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিনকে জুতাপেটার অভিযোগ উঠেছিল।

বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা জানান, সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হন সুহেল। ওই নির্বাচনে তিনি পরাজিত হন। দলীয় প্রার্থীর বিরোধিতা করায় তখন তাকে জেলা বিএনপির সহসভাপতি পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

লিলু আগে সুহেলের অনুসারী ছিলেন। সুহেল দল থেকে বহিষ্কার হওয়ার পর তিনি সিলেট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির নিখোঁজ নেতা এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহমিনা রুশদি লুনার হয়ে কাজ শুরু করেন।

সর্বশেষ ইউপি নির্বাচনে লুনা ও সুহেল আলাদা আলাদা স্বতন্ত্র প্রার্থী দেন। সে সময় লুনার প্রার্থীকে সমর্থন দেয়ায় সুহেল লিলুর ওপর ক্ষুব্ধ হন।

এ বিভাগের আরো খবর