বাংলাদেশে অটিজমের বৈশিষ্ট্য নিয়ে জন্ম নেয়া শিশুর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি এ বিষয়ে দেশব্যাপী চালানো জরিপে দেখা গেছে, ১৬ থেকে ৩০ মাস বয়সী শিশুদের মধ্যে অটিজমের শিকার প্রতি ১০ হাজারে ১৭ জন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরো ডিজ-অর্ডার অ্যান্ড অটিজম (ইপনা) দেশব্যাপী জরিপ চালিয়ে বৃহস্পতিবার এমন তথ্য প্রকাশ করেছে।
বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস-২০২২ উপলক্ষে বিএসএমএমইউতে রোববার সকাল ৯টার দিকে র্যালিতে অংশ নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এমন তথ্য জানান।
র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে বটতলা, টিএসসি, ডি-ব্লক ঘুরে এফ-ব্লকে গিয়ে শেষ হয়।
শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি ১০ হাজার শিশুর মাঝে ১৭ জন অটিজমসংক্রান্ত বিশেষ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন রয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অটিজম নিয়ে শিক্ষা-প্রশিক্ষণ, চিকিৎসা ও গবেষণার সুযোগ রয়েছে। তাই তাদের নিয়ে কেউ দুশ্চিন্তা না করে এখানে চিকিৎসা নিন।’
অভিভাবকদের সচেতনতার উদ্দেশে উপাচার্য বলেন, ‘শিশুর আচরণ কিংবা চলাফেরায় কোনো ধরনের অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখতে পেলে, তবে সময় নষ্ট না করে দ্রুত বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালে নিয়ে আসবেন। আমরা শিশুদের দ্রুত স্ক্রিনিং করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। শিশু যদি অটিজম আক্রান্ত হয় তবে কেউ মন খারাপ করবেন না।’
স্টিফেন হকিন্সের মতো বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের অনেকেই অটিজম আক্রান্ত বিশেষ শিশু ছিলেন। অটিজম শিশুরা যদি সঠিক পরিচর্চা পায়, তবে তারা অনেক স্বাভাবিক শিশুর থেকেও বেশি সম্ভাবনাময় হয়ে ওঠে।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুলকে ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরো ডিজ-অর্ডার অ্যান্ড অটিজমের (ইপনা) অনারারি শিক্ষক হিসেবে যোগদানের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।’
অটিজম আক্রান্ত বিশেষ শিশুদের পুনর্বাসনের জন্য বিগত সময়ের চেয়ে বেশি উদ্যোগ নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদও জানান উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
র্যালিতে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. জাহিদ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. আতিকুর রহমান, শিশু নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ও ইপনার উপপরিচালক অধ্যাপক ডা. গোপেন কুমার কুন্ডু, ইপনার উপপরিচালক (অ্যাকাডেমিক) সহযোগী অধ্যাপক ডা. কানিজ ফাতেমা, নিউরোলজিস্ট ডা. মাজহারুল মান্নানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।