বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বেনাপোলে বোমা বিস্ফোরণ: পৌর কাউন্সিলরকে রিমান্ডে চায় পুলিশ

  •    
  • ৩ এপ্রিল, ২০২২ ১৪:৩০

পোর্ট থানার ওসি কামাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘গ্রেপ্তার কাউন্সিলর রাশেদ আলীকে শিগগির আদালতে তুলে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।’

বেনাপোলে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় পৌরসভার কাউন্সিলর ও সাবেক বন্দর শ্রমিকের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ আলীকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

শিগগির তাকে আদালতে তুলে রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলে রোববার দুপুরে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভূঁইয়া।

শনিবার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। ভোরে ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালি গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। এ সময় তার কাছ থেকে ২টি বিদেশি পিস্তল, ৯টি গুলি ও ২টি ম্যাগজিন জব্দ করা হয়।

রাশেদ আলী বেনাপোল পোর্ট থানার দিঘিরপাড় গ্রামের বাসিন্দা।

নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন যশোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুপম কুমার।

তিনি জানান, গত ২৮ মার্চ সোমবার সকালে বেনাপোলের শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয়ের সামনে কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এক পুলিশসহ কয়েকজন শ্রমিক আহত হন। এরপর বন্দরে এক দিন বন্ধ থাকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম।

অবৈধভাবে বেনাপোল বন্দর এলাকা দখলে পৌর কাউন্সিলর রাশেদ আলীর নেতৃত্বে কয়েকজন অর্ধশতাধিক বোমা হামলা করে। এ ঘটনায় তিনটি মামলা করা হয়েছে। এই তিনটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

ওসি জানান, এর মধ্যে পুলিশ অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেছে। অন্যটি শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা হয়েছে। এই মামলার এজাহারভুক্ত ৩৬ জন। এর মধ্যে রাশেদ আলী ১ নম্বর আসামি। মামলার পরপরই গা ঢাকা দেন তিনি। তার সঙ্গীরাও ঘটনার পর থেকে পলাতক।

পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, এ ছাড়া কাউন্সিলর রাশেদ আলীর বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারীকে মারপিট, চাঁদাবাজি, হত্যা ও ছিনতাইসহ বেনাপোল পোর্ট থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে।

বেনাপোল স্থলবন্দরে বোমা হামলার ঘটনার মামলায় শনিবার বেনাপোলের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আরও ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ।

পোর্ট থানার ওসি কামাল হোসেন ভূঁইয়া জানান, পুলিশ ও শ্রমিক আহতের ঘটনায় মামলার প্রধান আসামিসহ এ পর্যন্ত ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

এ বিভাগের আরো খবর