নোয়াখালীর চাটখিলে নিখোঁজের ১০ দিন পর পাঁচ বছরের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের মেঘা গ্রামের একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে শনিবার রাত ১১টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ২২ বছরের শাহাদাত হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। শাহাদাত গ্রামের মো. বাবুলের ছেলে ও শিশুর চাচাতো ভাই।
রোববার সকালে নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করে চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে বাড়ির সামনে থেকে ওই শিশু নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় পরের দিন তার বাবা চাটখিল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
জিডির বরাতে ওসি বলেন, ‘অভিযুক্ত যুবক বাড়ির সামনে থেকে ওই শিশুকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে বাড়ির পাশের সেপটিক ট্যাংকে মরদেহ ফেলে দেয়।’
ওসি গিয়াস উদ্দিন জানান, জিডির সূত্র ধরে তদন্তে নামে পুলিশ। একপর্যায়ে ১ এপ্রিল রাতে শাহাদাতকে সন্দেহজনকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ থানায় নিয়ে যায়।
ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর একপর্যায়ে তার দেয়া তথ্য মতে ঘটনার ১০ দিন পর তাদের বাড়ির একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ওসি বলেন, ‘এ বিষয়ে দুপুরে নোয়াখালী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।’