উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে এখনো বাজারে ওঠেনি স্থানীয় তরমুজ। আবহাওয়ার কারণে এখানকার তরমুজ পরিপক্ব হতে লাগবে আরও কিছু সময়।
মৌসুমি এ ফলের ঘাটতি মেটাতে বাজার দখল করেছে দক্ষিণাঞ্চলের তরমুজ। কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে এই তরমুজ। বিত্তবানরা এই তরমুজের স্বাদ নিতে পারলেও নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে এটি এখনও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।
পঞ্চগড়ে ১৮১ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও চাষিরা ৫০০ হেক্টর জমিতে আবাদ করেছে। আবহাওয়া ও ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে এখনও বাজারে ওঠেনি এই ফল।
পরিবহন খরচ বেশি হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা তরমুজের দামও বেশি। ৬ থেকে ৭ কেজি ওজনের তরমুজ বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে।
স্থানীয় কৃষি বিভাগ বলছে, এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে জেলায় উৎপাদিত তরমুজ বাজারে এলে দাম সহনীয় মাত্রায় থাকবে।
পঞ্চগড় শহরের কদমতলা ফল মার্কেটের ব্যবসায়ী হামিদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রমজানে রোজাদারদের মধ্যে বাহারি ফলমূলের চাহিদা থাকে। তাই বেশি দাম হলেও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আমরা মৌসুমি নানা ফলমূল নিয়ে আসি।
‘দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন স্থান এবং পাহাড়ি এলাকা থেকে এই তরমুজ পার্শ্ববর্তী জেলা ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুরের ফল ব্যবসায়ীরা তাদের আড়তে এনে বিক্রি করছেন। আমরা সেখান থেকে চড়া দামে কিনে সেই ফল সীমিত লাভে বিক্রি করছি। মানুষের চাহিদা পূরণ করতে পেরে আমরা খুশি।’
মোস্তফা কামাল নামের আরেক ফল ব্যবসায়ী বলেন, ‘আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় চাষিদের উৎপাদিত তরমুজ বাজারে এলে দাম কমে যাবে।’
শহরের মসজিদপাড়া গ্রামের ওষুধ ব্যবসায়ী রাজু বলেন, ‘বর্ণালী রঙের এই তরমুজ কিনতে এসে একটু বিপাকেই পড়তে হলো, কারণ দাম অনেক বেশি। তবে পরিবারের বায়না মেটাতে পারলাম, তাই ভালো লাগছে।’