বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ছাত্রলীগ নেতাদের গাড়িতে ফেনসিডিল পাওয়ার অভিযোগ

  •    
  • ২ এপ্রিল, ২০২২ ২৩:০১

ওসি বলেন, ‘মাদক ও গাড়িসহ চারজনকে আটক করেছেন এসআই সাইদুল হক। এদের মধ্যে চালকের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন এবং বাকিদের সাক্ষী রেখে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। কারণ চালকের সিটের নিচে ফেনসিডিলগুলো পাওয়া গেছে। তারা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা কি না, সেটাও জানি না।'

ব্রাক্ষণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ছাত্রলীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় তিন নেতা ঢাকা থেকে সেখানে যাচ্ছিলেন। পথে তাদের বহন করা গাড়িতে ফেনসিডিল পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক ছাত্রলীগ নেতা জানান, আটকের কিছু পর ওই তিন নেতাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার রাত ৩টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থানার পুলিশ তাদের আটক করে।

বিজয়নগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাহেদুল হক জানান, গাড়ির চালককে আসামি করে মামলার পর তিন জনকে সে মামলার সাক্ষী করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘গাড়িতে তিনজন যাত্রী ছিলেন। চালকের আসনের নিচ থেকে ছয় বোতল ফেনসিডিল উদ্ধারের পর বৃহস্পতিবার সকালে তাদের থানায় নিয়ে যাই। এ ঘটনায় একটি মামলাও হয়েছে।'

গাড়িতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কোনো নেতা উপস্থিত ছিলেন কিনা জানতে চাইলে সরাসরি কোনো উত্তর দেননি সাহেদুল হক।

তিনি বলেন, ‘আমি সারারাত ডিউটি করে এসেছি। কারা উপস্থিত ছিলেন তা সঠিকভাবে বলতে পারব না।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ছাত্রলীগ নেতা জানান, উপজেলার চান্দুরা সড়কের তেলের পাম্পের সামনে থেকে ২০ বোতল ফেনসিডিলসহ গাড়িটি আটক করে পুলিশ। তারপর সেখানে তাদের ছাড়িয়ে নিতে ছুটে যান জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত শোভন ও বিজয়নগর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম মাহবুব হোসেন।

তিনি জানান, থানায় আটকদের মধ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি জিয়াসমিন শান্তা, সহসভাপতি এম সাজ্জাদ হোসেন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর জব্বার রাজ ছিলেন।

সে সময় থানায় উপস্থিত হয়ে বিজয়নগর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম মাহবুব হোসেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাদের ছাড়তে পুলিশের ওপর চাপ দেন। পরে মাহবুব ও গাড়ি চালক মো. রমজানকে থানায় রেখে বাকি তিন নেতাকে ছাড়িয়ে নেয়া হয়।

সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আটক গাড়ির ড্রাইভার রমজানের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। রমজান নরসিংদী জেলার তারুয়া এলাকার বাসিন্দা।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে বিজয়নগর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম মাহবুব হোসেনকে ফোন করা হলেও তার নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা মোহাম্মদকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন।

শনিবার বিকেলে তার সঙ্গে আবার যোগাযোগ করে নিউজবাংলা। তখন ওসি বলেন, ‘মাদক ও গাড়িসহ চারজনকে আটক করেছেন এসআই সাইদুল হক। এদের মধ্যে চালকের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন এবং বাকিদের সাক্ষী রেখে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। কারণ চালকের সিটের নিচে ফেনসিডিলগুলো পাওয়া গেছে। তারা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা কি না, সেটাও জানি না।'

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত শোভনকে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি জিয়াসমিন শান্তা বলেন, ‘এটা মিথ্যা কথা। আমি মামলার কপি সংগ্রহ করেছি। সেখানে সাক্ষী হিসেবে আমার নাম নেই। আর আমার গাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাওয়া এবং আসার পথে কোথাও কোনো থানা আটকও করেনি।’

সাজ্জাদ বলেন, ‘আমাদের গাড়িতে জিয়াসমিন শান্তা, আবদুর জব্বার রাজ এবং আমি ছিলাম। মামলার কপিতে সাক্ষী হিসেবে আমার নাম আছে। দেখলাম আমার ঠিকানাটা ভুল দেয়া। তবে আমাদের গাড়িকে তো আটকই করা হয়নি। এই মামলার কপিতে আমার নাম কীভাবে এল সেটা আমি বুঝতে পারছি না।’

এম সাজ্জাদ তার গাড়িতে জিয়াসমিন শান্তা ছিল জানালেও জিয়াসমিন শান্তার দাবি তিনি ওই গাড়িতে ছিলেন না।

শান্তা বলেন, ‘আমার গাড়িতে আমি এবং আবদুর জব্বার রাজ ছিলাম। আর সাথে ড্রাইভার ছিল।’

আরেক কেন্দ্রীয় নেতা আবদুর জব্বার রাজকে ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়কে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

এ বিভাগের আরো খবর