আমদানিনির্ভর কসমেটিকস পণ্যের বাজার বদলে দিতে আসছে রিমার্ক এইচবি লিমিটেড। মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় পরিপূর্ণ কসমেটিকস কারখানা এবং স্কিন গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করছে প্রতিষ্ঠfনটি। দেশে কসমেটিকস পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করাই হবে এর প্রধান লক্ষ্য।
প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে বিশ্বের অন্যতম সেরা কসমেটিকস ও স্কিন রিসার্চ সেন্টার হিসেবে নিজেদের অবস্থান দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠা করাই হবে তাদের লক্ষ্য। রিমার্ক এলএলসি, ইউএসএর এফিলিয়েটেড সংস্থা হিসেবে আন্তর্জাতিক মানের পণ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে ইউরোপ-আমেরিকার স্বনামধন্য প্রডাক্ট রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সংস্থায় আরএনডি বা গবেষণায় বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছেন তারা।
ইউরোপ ও আমেরিকার বহুল প্রচলিত কসমেটিকস পণ্যগুলো গবেষণার মাধ্যমে বাংলাদেশের আবহাওয়া, মানুষের স্কিনের ধরন ও চাহিদা অনুযায়ী প্রস্তুত করা হবে এই কারখানায়।
রিমার্ক এইচবি লিমিটেডের হেড অফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স শরীফ মোহাম্মদ আলী সুমন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রতি বছর দেশে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার কসমেটিকস পণ্য আমদানি করা হয়ে থাকে। রিমার্কের এই উদ্যোগের ফলে আমদানিনির্ভর এ শিল্পটি একটি রপ্তানিযোগ্য শিল্প খাতে রূপান্তরিত হবে, যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় অবদান রাখবে।’
তিনি জানান, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় ১০০ একর অকৃষিযোগ্য পরিত্যক্ত জমিকে পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নের উপযোগী করে ব্যবহারের মাধ্যমে রিমার্ক এইচবি লিমিটেডের পরিকল্পিত কারখানা নির্মাণের প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সেখানে সরাসরি কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে প্রায় ১৫ হাজার কর্মী। এ ছাড়া পরোক্ষভাবে প্রায় দেড় লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে প্রতিষ্ঠানটি।
এই কারখানায় ৪০টি ব্র্যান্ডের কালার কসমেটিকস, স্কিন কেয়ার, হোম কেয়ার ও পারসোনাল কেয়ারের প্রায় ৫০০ পণ্য উৎপাদনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। কসমেটিক পণ্যের পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব প্যাকেজিং কম্পোন্যান্ট নিয়েও প্রতিষ্ঠানটি চালাচ্ছে ব্যাপক গবেষণা।
শরীফ মোহাম্মদ আলী সুমন বলেন, ‘বাংলাদেশে কসমেটিকস খাতে এই ধরনের বিনিয়োগ এর আগে কখনও হয়নি। তাই বলা যায়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম কসমেটিকস ইন্ডাস্ট্রি হাব-এ পরিণত হতে যাচ্ছে রিমার্ক এইচবি লিমিটেড।’
রিমার্ক এইচবি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল আম্বিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা পরিবেশবান্ধব গ্রিন ইন্ডাস্ট্রি তৈরির লক্ষ্যে সব ধরনের মানদণ্ড অব্যাহত রেখে কাজ করে যাচ্ছি। এই লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে যথাযথ ছাড়পত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দ্রুত শিল্পায়ন ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নের যে স্বপ্ন দেখেছেন, তা বাস্তবায়ন করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।’