নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের কাদিরপুরে দাফনের দুই মাস পর কবর থেকে জাহানারা নামের এক গৃহবধূর মরদেহ তুলে হাসপাতাল মর্গে নিয়েছে পুলিশ।
শনিবার বেলা ৩টার দিকে ঘাটলা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে মরদেহটি তোলা হয়।
জাহানারা ঘাটলা গ্রামের আবু তাহেরের মেয়ে। তার স্বামীর মো. হারুনের বাড়ি একই ইউনিয়নের গয়েছপুর গ্রামে।
আদালতের নির্দেশে আবার ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি তোলা হয়েছে।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন বেগমগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হোসেন এবং গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপপরিদর্শক ও তদন্ত কর্মকর্তা মো. সাঈদ মিয়া।
ডিবির উপপরিদর্শক মো. সাঈদ মিয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, জাহানারাকে ২ ফেব্রুয়ারি রাতে স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন হত্যা করেন বলে অভিযোগ আনেন তার ভাই তাজুল ইসলাম। তিনি জাহানারার স্বামী মো. হারুনসহ চারজনের বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় ৩ ফেব্রুয়ারি সকালে মামলা করেন।
জাহানারার মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে উল্লেখ রয়েছে বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা সাঈদ।
তিনি জানান, তাজুল ইসলামের করা মামলায় আদালতের আদেশে মরদেহ তুলে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই মামলার আসামি হারুন কারাগারে আছেন।
ডিবি কর্মকর্তা সাঈদ জানান, এ মামলার তদন্ত করছে ডিবি। আদালতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও তদন্তকারী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।