বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফিনটেক বাস্তবায়নে সঠিক পথে বাংলাদেশ: ড. সেলিম

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২ এপ্রিল, ২০২২ ২০:০২

ড. সেলিম বলেন, ‘বাংলাদেশে টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে বিদ্যুতের অবকাঠামোগত প্রস্তুতি, মোবাইল নেটওয়ার্ক কভারেজ, ই-গভর্নেন্স ও ডিজিটাল পরিষেবাগুলোর সহজলভ্যতার ক্ষেত্রে ভালোভাবেই এগোচ্ছে।’

টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য ফিন্যান্সিয়াল টেকনোলজি (ফিনটেক) বাস্তবায়নের বাংলাদেশ সঠিক পথে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের চেয়ারম্যান এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সেলিম উদ্দিন।

তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশে টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে বিদ্যুতের অবকাঠামোগত প্রস্তুতি, মোবাইল নেটওয়ার্ক কভারেজ, ই-গভর্নেন্স ও ডিজিটাল পরিষেবাগুলোর সহজলভ্যতার ক্ষেত্রে ভালোভাবেই এগোচ্ছে।’

শনিবার ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে ইসলামী ব্যাংক ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ একাডেমি (আইবিটিআরএ) আয়োজিত এক্সিকিউটিভ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে চিফ মডারেটর হিসেবে বক্তব্য দেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা। গেস্ট পারটিসিপেন্ট ছিলেন ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী ও মো. ওমর ফারুক খান।

এতে সভাপতিত্ব করেন আইবিটিআরএর প্রিন্সিপাল এস এম রবিউল হাসান।

এছাড়া ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর, চিফ রিস্ক অফিসার, ক্যামেলকো, ঊর্ধ্বতন নির্বাহী, জোনপ্রধান ও শাখাপ্রধানরা অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হন।

এসময় বাংলাদেশে ফিনটেক ইকোসিস্টেমের আকার বড় হচ্ছে এবং আগামী বছরগুলোতেও সেটি বাড়বে বলেও আশা প্রকাশ করেন ড. সেলিম।

তিনি বলেন, ‘তবে আর্থিক কার্যক্রমে অটোমেশন ও ডিজিটালাইজ করার জন্য প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অন্যান্য দেশের তুলনায় আরও বেশি গতিশীল হয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’

গবেষণা প্রতিষ্ঠান লাইট ক্যাসেল পার্টনার্সের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ফিনটেক ইন্ডাস্ট্রির বাজার বর্তমানে অসম্পৃক্ত অবস্থায় রয়েছে, যেখানে উদ্ভাবনী আর্থিক পরিষেবা প্রসারের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।’

জাতীয় ডাটাবেজ ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরও এগিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে আর্থিক খাতে গতি বাড়ানো সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।

ড. সেলিম বলেন, ‘জাতীয় ডেটাবেজ ব্যবহার করে বিশ্বের কোনো কোনো দেশে ১৫ সেকেন্ডের মধ্যে ঋণ বিতরণ করা হয়। এক্ষেত্রে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘জাতীয় প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে আমাদেরকে ইন্টারনেট সংযোগের অ্যাক্সেস, মান ও গতি এবং মোবাইল ডিভাইস ও ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা বৃদ্ধিতে গুরুত্ব ও মনোযোগ দিতে হবে।’

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সামনে সফলভাবে মুখোমুখি হওয়ার অবকাঠামো, মানব সম্পদ, আর্থিক ও নীতিগত প্রস্তুতিসহ ডিজিটাল বাংলাদেশের চারটি মৌলিক স্তম্ভের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

বাংলাদেশের ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ ও সুযোগসমূহের কথা তুলে ধরেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান।

তার দৃষ্টিতে চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে রয়েছে নিরাপত্তা ঝুঁকি, সাইবার-ক্রাইম, আস্থা ও সুসম্পর্ক তৈরি করা আর ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতা।

আর সুযোগ হিসেবে তিনি বলছেন, বর্ধিত গ্রাহক অভিজ্ঞতা, নিরাপত্তা ও দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ফিনটেকের জন্য সহজলভ্যতার কথা।

ড. সেলিম বলেন, ‘বিশ্বে সেন্ট্রাল ব্যাংক ডিজিটাল কারেন্সি (সিডিবিসি) দ্রুত বাড়ছে। ৮৭টি দেশ সরকারি ডিজিটাল মুদ্রা নিয়ে কাজ করছে এবং সাতটি দেশে এটি পুরোপুরি চালু হয়েছে। এই পরিবর্তনগুলো মোকাবিলা করার জন্য আমাদের কল সেন্টারের পরিবর্তে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বট, এটিএম বুথের পরিবর্তে ক্যাশবিহীন লেনদেন এবং অডিট এড়াতে ব্লক-চেইনের ওপর ফোকাস করতে হবে।’

টেকসই প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে অ্যাপ এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিশ্বের ৫২২ কোটি ইউনিক মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীকে ফিনটেকের আওতায় আনার ওপর জোর দেন অধ্যাপক সেলিম।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকারি কমিটমেন্ট, সহায়ক নীতি ও নির্দেশিকা এবং ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ল্যাব রয়েছে, যা টেকসই প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করবে।’

ইসলামী ব্যাংক জাতীয় নীতি অনুসরণ করে বলেই এই ব্যাংকটিকে বাংলাদেশ ব্যাংক টেকসই ব্যাংকের স্বীকৃতি দিয়েছে বলেও মনে করেন ড. সেলিম।

তিনি বলেন, ‘গ্লোবাল ফিনটেক মার্কেট ২০২৬ সালের মধ্যে ৩২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছাবে।’

এ পরিবর্তন ও উন্নয়নকে গ্রহণের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক ও জাতীয়ভাবে উচ্চ বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের জন্যও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা বলেন, ‘ফিনটেক সলিউশনের মাধ্যমে টেকসই প্রবৃদ্ধি নিয়ে ইসলামী ব্যাংক কাজ করছে। এই ব্যাংক সর্বাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে আর্থিক সেবা প্রদান করছে।’

ফিনটেক ব্যবহার করে আর্থিকভাবে সুবিধাবঞ্চিত ব্যক্তিদের আর্থিক সেবার আওতায় আনতে ইসলামী ব্যাংকের ছয় হাজারের বেশি ইউনিট কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

সবাইকে ইসলামী ব্যাংকের সেলফিন অ্যাপ, ইন্টারনেট ব্যাংকিংসহ অন্যান্য আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ সেবা গ্রহণের আহ্বান জানান ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা।

এ বিভাগের আরো খবর