বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন জরুরি’

  •    
  • ২ এপ্রিল, ২০২২ ১৮:৪৮

টুকু বলেন, ‘২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হবে। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন আছে, কিন্তু আইনে ফাঁকফোকর রয়েছে। শুধু প্রশাসন দিয়ে এটা ঠেকানো যাবে না। আইন যেমন সংশোধন করতে হবে, তেমনি গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসতে হবে।’

আইনে ফাঁকফোকর থাকায় তামাক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হচ্ছে না। বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. শামসুল হক টুকু।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে আলোচনা সভায় টুকুসহ সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা এই মন্তব্য করেন।

স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন পার্লামেন্টারি ফোরাম গণমাধ্যমের সঙ্গে ‘২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম’ শিরোনামে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. শামসুল হক টুকু।

তিনি বলেন, ‘২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হবে। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন আছে, কিন্তু আইনে ফাঁকফোকর রয়েছে। ধূমপানের কারণে সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থীসহ সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে শুধু প্রশাসন দিয়ে এটা ঠেকানো যাবে না।

‘আইন যেমন সংশোধন করতে হবে, তেমনি গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসতে হবে। মাদকমুক্ত দেশ গড়তে হলেও ধূমপান বন্ধ করতে হবে। প্রতি বছর আমরা তামাকের কর বাড়ানোর ব্যাপারে চেষ্টা করছি। এবারের বাজেটেও দাম বাড়ানোর চেষ্টা করব।’

সাংসদ আদিবা আনজুম মিতা বলেন, ‘গণমাধ্যমে তামাক নিয়ন্ত্রণবিষয়ক কর্মকাণ্ড বেশি বেশি প্রচার করতে হবে। তামাকের কারণে ফুসফুস ক্যানসার, দাঁতের ক্যানসারসহ নানা মরণঘাতী রোগে আক্রান্ত হচ্ছি আমরা। অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হয়ে যাচ্ছে। তাই তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করে যুগোপযোগী করতে হবে। তামাকের ওপর কর ও দাম বাড়ানো জরুরি।’

জতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘এখন সিগারেট খাওয়ার হার আরও বেড়েছে। নারীদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে ধূমপানের হার বাড়ছে। আমাদের দেখতে হবে কীভাবে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিদ্যমান আইনের সংশোধনী প্রয়োজন।

আইনের অনেক ফাঁকফোকর না থাকলে নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়। এই জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে আমাদের দ্রুত কাজ করা দরকার। আইন সংশোধন এবং জনসচেতনতা তৈরি করা দরকার।’

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন, ‘বাংলাদেশে তামাকবিরোধী আন্দোলন চলছে, যা আমি সব সময় সমর্থন করি। এটা বন্ধ করতে পারলে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা হবে।’

স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন পার্লামেন্টারি ফোরামের অধ্যাপক হাবিবে মিল্লাত বলেন, “বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং-এর মাধ্যমে সংসদ সদস্যরা জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় নানা কার্যক্রম পালন করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ফোরামের পক্ষ থেকে আমরা তামাক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি।’

এ বিভাগের আরো খবর