দেশের আকাশে দেখা গেছে রমজান মাসের চাঁদ। রোববার থেকে শুরু হচ্ছে রোজা।
ইসলামী ফাউন্ডেশনের একটি সূত্র নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশের আকাশে সন্ধ্যায় চাঁদ দেখতে পেয়েছে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। চাঁদ দেখা গেছে শরীয়তপুর ও যশোরে। রোববার থেকে পবিত্র রমজান মাস গণনা শুরু হবে।
ফলে আগামী ২৬ রমজান অর্থাৎ ২৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে কদর পালিত হবে।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের পূর্ব সাহানে শনিবার সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।
১৪৪৩ হিজরির রমজান মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে দেশের সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়গুলো, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে।
করোনাভাইরাস মহামারির সংক্রমণ অনেকটা কমে আসায় এবার মসজিদে নামাজ আদায়ে তেমন কোনো বিধিনিষেধ নেই। তবে সংক্রমণ যেন আর বাড়তে না পারে সেদিকে সচেতন থাকার অনুরোধ জানিয়েছে সরকার।
তাই মাস্ক ব্যবহারের পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
দেশের সব মসজিদে অভিন্ন পদ্ধতিতে তারাবি পড়ানোর আহ্বান
রমজানে খতম তারাবি পড়ার সময় সারা দেশের সব মসজিদে একই পদ্ধতি অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
বুধবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির সহকারী জনসংযোগ কর্মকর্তা শায়লা শারমীন।
বিজ্ঞপ্তিতে রমজানের প্রথম ৬ দিনে দেড় পারা করে ৯ পারা পড়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। পরের ২১ দিনে এক পারা করে ২১ পারা তিলাওয়াত করলে ২৭ রমজান রাতে অর্থাৎ পবিত্র শবেকদরে কোরআন খতম করা সম্ভব বলেও উল্লেখ করা হয়।
রমজানে দেশের প্রায় সব মসজিদে খতম তারাবির নামাজে কোরআনের নির্দিষ্ট পরিমাণ পারা তিলাওয়াতের রেওয়াজ রয়েছে। তবে কোনো কোনো মসজিদে এর ভিন্নতা দেখা যায়। এতে কাজের জন্য বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতকারী মুসল্লিদের মধ্যে কোরআন খতমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয় না। ফলে মুসল্লিদের মধ্যে অতৃপ্তি ও মানসিক চাপ অনুভূত হয়। কোরআন খতমের পূর্ণ সওয়াব থেকেও তারা বঞ্চিত হন।
এই সমস্যা নিরসনে ইসলামিক ফাউন্ডেশন একই পদ্ধতিতে তারাবির নামাজ আদায়ের অনুরোধ জানিয়েছে।
এই পদ্ধতিতে তারাবির নামাজে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সারা দেশের সব মসজিদের খতিব, ইমাম, মসজিদ কমিটি, মুসল্লি এবং সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে।