বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সিরামিক শিল্পের বিকাশে সহযোগিতা করবে সরকার: বাণিজ্যমন্ত্রী

  •    
  • ২ এপ্রিল, ২০২২ ১৮:০১

সেমিনারে বক্তারা বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যে জানা যায়, গত চার বছরে তিতাস গ্যাস কোম্পানি ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছে। এর পরও লোকসানের দাবি তুলে অবিবেচকের মতো আবারও গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব আদৌ যুক্তিসংগত নয়।

দেশীয় সিরামিক শিল্প রক্ষা ও প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাজারে উদীয়মান এ শিল্পের বিকাশে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা সরকার গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে শনিবার বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমইএ) আয়োজিত ‌‌‘বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ হলে সিরামিক সেক্টরের সম্ভাবনা ও এর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মোল্লার সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য দেন এনএসডিএর নির্বাহী চেয়ারম্যান দুলাল কৃষ্ণ সাহা, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন, এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান, আইসিএমইবির প্রেসিডেন্ট মো. মামুনূর রশীদ, ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন, বিসিএমইএর সাধারণ সম্পাদক ইরফান উদ্দিন ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মইনুল ইসলাম।

সংগঠনের সভাপতি বলেন, ‘সিরামিক অত্যন্ত সম্ভাবনাময় আমদানি বিকল্প একটি শিল্প খাত। রপ্তানি এবং আমদানি বিকল্প পণ্য হিসেবে দেশে ইতোমধ্যেই ৭০টি সিরামিক (টেবিল ওয়্যার, টাইলস ও স্যানিটারি ওয়্যার) শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ শিল্পে দেশি-বিদেশি মোট বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। রপ্তানি খাত থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের পরিমাণ বার্ষিক প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। সিরামিক শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িয়ে আছে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের জীবন ও জীবিকা।’

তিনি বলেন, ‘গ্যাসনির্ভর এই শিল্পে ক্রমাগত গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে রয়েছে উদ্যোক্তারা। এ শিল্প গ্যাসচালিত হওয়ায় বিকল্প কোনো জ্বালানি ব্যবহারের সুযোগ নেই। ১০ বছরে শিল্প খাতে প্রায় শতভাগ গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।’

সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই তৈরি পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পায়। কিন্তু বিদেশি পণ্যের সঙ্গে মূল্য প্রতিযোগিতার কারণে দেশীয় তৈরি পণ্যের মূল্য ইচ্ছামতো বৃদ্ধি করা যায় না। ফলে উৎপাদককে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।’

সেমিনারে বক্তারা বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যে জানা যায়, গত চার বছরে তিতাস গ্যাস কোম্পানি ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছে। এর পরও লোকসানের দাবি তুলে অবিবেচকের মতো আবারও গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব আদৌ যুক্তিসংগত নয়।

অতীতে দাম বৃদ্ধির সময় তিতাস কর্তৃপক্ষ বলেছিল, চাহিদা অনুযায়ী উপযুক্ত মাত্রায় উন্নত মানের গ্যাস নিরবচ্ছিন্নভাবে সরবরাহ করা হবে। প্রয়োজনীয় গ্যাসের প্রেসার ও মান ঠিক রেখে নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্যাস সরবরাহের সক্ষমতা তিতাস কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত অর্জন করতে সক্ষম হয়নি।

এ বিভাগের আরো খবর