বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এক দশকেও বিদ্যুতের খুঁটি বসেনি যে গ্রামে

  •    
  • ২ এপ্রিল, ২০২২ ১৭:০১

মেগচামী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ বলেন, ‘আমি কর্তৃপক্ষকে অনেকবার জানিয়েছি কিন্তু কোনো কাজ হয় নাই। বৃষ্টির দিন মাঝেমধ্যেই গাছে আগুন লেগে যায়। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’

কোথাও বাঁশে, কোথাও গাছের সঙ্গে বৈদ্যুতিক তার টাঙানো। কিছু কিছু জায়গায় তারের ভারে হেলে পড়েছে বাঁশের খুঁটি। হেলে পড়া বাঁশ ঠেকাতে দেয়া হয়েছে আরেকটি বাঁশ।

এভাবেই বাড়ি বাড়ি বিদ্যুতের সংযোগ দেয়া হয়েছে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার মেগচামী ইউনিয়নের মেগচামী গ্রামে। বিদ্যুৎ পেয়ে শতাধিক মানুষ একদিকে যেমন খুশিতে, তেমনি একই সঙ্গে আছে দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে তারা বৈদ্যুতিক খুঁটি বসানোর দাবি জানালেও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

মেগচামীতে গিয়ে দেখা যায়, ১ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যপাড়া খানবাড়ী থেকে মধ্যপাড়া গোরস্থান মডেল বাজার পর্যন্ত এক কিলোমিটারের বেশি এলাকায় বিভিন্ন গাছ ও বাঁশঝাড়ের সঙ্গে লাগিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডব্লিউজেডপিডিসিএল) রাজবাড়ী অফিস।

মেগচামী এলাকার হারুন মণ্ডল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার বাড়ির সামনে একটা সিমেন্টের বৈদ্যুতিক খুঁটি ছিল। সেটা ভেঙে যাওয়ার পর বিদ্যুৎ অফিসের লোক এসে মেহগনি গাছের সঙ্গে বিদ্যুতের তার পেঁচিয়ে দিয়েছে।

‘আমরা খুঁটি বসাতে বললে কর্তৃপক্ষ আমাদের দ্রুত কাজ হওয়ার আশ্বাস দেয়। ১০ বছরের বেশি সময় ধরে আমাদের অপেক্ষাই চলছে।’

শুধু এভাবে বিদ্যুতের সংযোগ নয়, মিটার না দেখে বিল করা ও লাইনের নানা সমস্যার জন্য অতিরিক্ত ফি নেয়ারও অভিযোগ আছে স্থানীয়দের।

বৈদ্যুতিক খুঁটির বদলে বাঁশে বা গাছে তার ঝোলানোর নিয়ম আছে কি না সে প্রশ্নে বিদ্যুৎ বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, ১০০ গজ দূরত্বে অবশ্যই খুঁটি বসাতে হবে। তা ছাড়া সংযোগ দেয়া যাবে না। অথচ এ এলাকায় দুইশ থেকে তিনশ মিটারের বেশি দূরত্বে খুঁটি বসানো হয়েছে। মাঝে বাঁশের খুঁটি বসানো হয়েছে।

মেগচামী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি কর্তৃপক্ষকে অনেকবার জানিয়েছি কিন্তু কোনো কাজ হয় নাই। বৃষ্টির দিন মাঝেমধ্যেই গাছে আগুন লেগে যায়। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’

এ বিষয়ে কিছুই জানা নেই বলে দাবি ডব্লিউজেডপিডিসিএলের রাজবাড়ীর নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুর রহমানের। তিনি বলেন, ‘আমার এই বিষয়ে কিছু জানা নেই। ওই এলাকায় গিয়ে বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেব।’

এ বিভাগের আরো খবর