বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সুস্থ হয়ে আকাশে

  •    
  • ২ এপ্রিল, ২০২২ ১৪:৫৫

কেন্দ্রের মুখ্য গবেষক সারওয়ার আলম দিপু জানান, ২০১৬ সালে বন বিভাগ ও আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন) বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে সিংড়া জাতীয় উদ্যানে কেন্দ্রটি চালু করা হয়। এরপর থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ১৪৯টি শকুনকে সুস্থ করে অবমুক্ত করা হয়েছে।

দিনাজপুরের বীরগঞ্জ সিংড়া জাতীয় উদ্যান থেকে ১৯টি শকুন অবমুক্ত করা হয়েছে।

গত এক বছরে দেশের নানা প্রান্ত থেকে অসুস্থ অবস্থায় কুড়িয়ে আনা হয়েছিল প্রকৃতির ঝাড়ুদারখ্যাত এসব শকুন। চিকিৎসা শেষে শনিবার দুপুরে শকুনগুলো অবমুক্ত করে উদ্যান কর্তৃপক্ষ।

আবর্জনা, মৃত প্রাণী এদের খাবার বলে অনেকেই শকুন দেখে নাক সিটকায়; ঝাড়ুদার নামকরণও এ কারণে। তবে এগুলোর এই খাদ্যাভ্যাসের কারণে পরিবেশ থাকে পরিচ্ছন্ন ও দূষণমুক্ত।

বাংলাদেশে শকুনের দেখা মেলা এখন ভার। ভারতের বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় দূরদৃষ্টিসম্পন্ন এই প্রাণী চোখে পড়ে প্রায়ই। শীত মৌসুমে প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে বাংলাদেশে আসে এগুলো।

দীর্ঘপথ পাড়ি দেয় বলে দেশে ঢুকতেই অনেক শকুন অসুস্থ হয়ে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় নামে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এদের পরিণতি হয় মৃত্যু।

যেগুলো কোনো রকমে বেঁচে থাকে, সেগুলোকে উদ্ধার করে নেয়া হয় দেশের একমাত্র শকুন চিকিৎসা ও পরিচর্যা কেন্দ্র দিনাজপুরের বীরগঞ্জ সিংড়া ফরেস্ট বা জাতীয় উদ্যানে। চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে উঠলে এখানে এগুলোকে ছেড়ে দেয়া হয় আকাশে।

সিংড়া জাতীয় উদ্যান সূত্রে জানা গেছে, এখানে শকুন উদ্ধার ও পরিচর্যা কেন্দ্র স্থাপনের পর থেকে পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। প্রতি বছর সুস্থ হওয়া ২০ থেকে ২৫টি শকুন এখান থেকে অবমুক্ত করা হয়। এর মধ্যে গত এক বছরে ৩২টি শকুন উদ্ধার করা হয়। পরে বিভিন্ন সময় অবমুক্ত করা হয় ১৩টি।

চিকিৎসা শেষে সুস্থ বাকি ১৯টি শকুনকে এবার মুক্ত আকাশে উড়ানো হলো। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আব্দুল্লা হারুন প্রধান অতিথি ছিলেন।

শকুনদের চিকিৎসার জন্য নিয়োজিত দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি বিভাগের চিকিৎসক খাদিজা বেগম।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘শকুনই একমাত্র প্রাণী, যা রোগাক্রান্ত মৃত প্রাণী খেয়ে হজম করতে পারে এবং অ্যানথ্রাক্স, যক্ষ্মা, ক্ষুরারোগের সংক্রমণ থেকে অবশিষ্ট জীবকুলকে রক্ষা করে। তবে বড় বড় গাছ, খাদ্যের অভাব ছাড়াও বাংলাদেশে ডাইক্লোফেনাকের বেশি ব্যবহারের কারণে শকুন এখন বিলুপ্তির পথে।’

কেন্দ্রের মুখ্য গবেষক সারওয়ার আলম দিপু জানান, ২০১৬ সালে বন বিভাগ ও আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন) বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে সিংড়া জাতীয় উদ্যানে কেন্দ্রটি চালু করা হয়। এরপর থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ১৪৯টি শকুনকে সুস্থ করে অবমুক্ত করা হয়েছে।

শুধু ২০২১ সালেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করে আনা হয় ৩২টি। চিকিৎসা শেষে মুক্ত আকাশে ডানা মেলেছে এরা সবাই।

এ বিভাগের আরো খবর