শরীয়তপুর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজের প্রভাষককে ‘মারধরের’ অভিযোগের দুই দিন পর মামলা নিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার রাত ১২টায় মামলাটি রেকর্ড হয়েছে বলে জানিয়েছেন পালং মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন।
এর আগে বুধবার প্রভাষককে মারধরের ঘটনায় কলেজের অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ থানায় অভিযোগ দিলেও আমলে নেয়া হয়নি। দুই দিন পর অভিযোগ মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করল পুলিশ।
সদ্য বিলুপ্ত কমিটির কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি সোহাগ বেপারী ও সাধারণ সম্পাদক রাসেল জমাদ্দারসহ অজ্ঞাত আরও ২০ জনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়েছে, গত ৩০ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজের ৩০২ নম্বর কক্ষে বাংলা বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা হচ্ছিল। পরীক্ষার দায়িত্ব পালনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক উপস্থিত হয়েছিলেন।
এতে আরও বলা হয়, পরীক্ষা চলাকালীন বেলা সাড়ে ৩টার দিকে কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি সোহাগ বেপারী ও রাসেল জমাদ্দারসহ আরও ২০/২৫ জন পরীক্ষা কক্ষে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে পরীক্ষা বাধা দানের চেষ্টা করে। তখন বাংলা বিভাগের শিক্ষক বি এম সোহেল এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে তাকে কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এ ঘটনায় কলেজের অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ থানায় অভিযোগ দেন। তবে সেই অভিযোগ আমলে নেয়া হয়নি। দুই দিন পর অভিযোগ মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করেছে পুলিশ।
ওসি আক্তার হোসেন বলেন, ‘শুক্রবার রাত ১২টায় মামলাটি রেকর্ড হয়। মারপিট ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে মামলাটি হয়েছে।’
এদিকে অভিযুক্ত সোহাগ ব্যাপারী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে থাকলেও তিনি ওই কলেজের শিক্ষার্থীই ছিলেন না বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ। অভিযোগ ওঠার পর তড়িঘড়ি করে কলেজ শাখা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন জেলা ছাত্রলীগের নেতারা।
এই কমিটি তাহলে কীভাবে হলো- এই প্রশ্নের উত্তরে শরীয়তপুর জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মহসিন মাদবর বলেন, ‘কমিটির গঠনের বিষয়ে আমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি। তাই কীভাবে এই কমিটি হয়েছে তা আমি বলতে পারব না।’
এ ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে কলেজের শিক্ষার্থীরা।