মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে এক মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গ্রাম্য সালিশে ৬০ হাজার টাকায় সেই অভিযোগ মীমাংসা করা হয়।
নিউজবাংলার প্রতিনিধি বিষয়টি পুলিশ সুপারকে জানালে তিনি ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।
পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আপনার মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারলাম। গ্রাম্য সালিশে ধর্ষণের অভিযোগ মীমাংসার সুযোগ নেই। পুলিশ পাঠিয়ে খোঁজ নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ওই শিশুর মা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘১৫ দিন আগে প্রতিবেশী মজিদ আমার মেয়েকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। মেয়েটা মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় রাস্তায় মানুষের কাছে এই কথা বলে দেয়। বিষয়টি নিয়ে মজিদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তার বড় মেয়ে হামলা-মামলার ভয় দেখায়।
‘আমার স্বামী বিদেশে থাকে। আমি মেয়ের চাচাকে ঘটনাটা জানাই। তিনি আমাদের কাউকে কিছু না জানিয়ে শুক্রবার রাতে মীমাংসা করেন।’
মজিদের চাচাতো ভাই চানু শিকদার জানান, সাবেক মেম্বারসহ ২০ থেকে ২৫ জনের উপস্থিতিতে সালিশ হয়েছে। মজিদ তার দোষ স্বীকার করলে তাকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং হুজুরের মাধ্যমে তওবা পড়ানো হয়। এক মাসের মধ্যে তাকে জরিমানার টাকা পরিশোধ করতে হবে।
ওই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য খোরশেদ আলম বলেন, ‘সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সালিশের মাধ্যমে বিষয়টার মীমাংসা করা হয়েছে। আমাদের গ্রামের বিষয় আমরা মীমাংসা করেছি। এটা নিয়ে আপনাদের মাথা ঘামাতে হবে না। আমরা তো আইন জানি।’