বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্নরা সমাজের বোঝা নয়’

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২ এপ্রিল, ২০২২ ১০:২৮

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এই দিবস পালিত হচ্ছে। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘এমন বিশ্ব গড়ি অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তির প্রতিভা বিকশিত করি’।

অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিরা সমাজের বোঝা নয় বরং সঠিক পরিচর্যা, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও স্নেহ-ভালোবাসা দিয়ে গড়ে তোলা হলে তারাও পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের সম্পদ হিসেবে গড়ে উঠবে।

শনিবার ‘১৫তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’ উপলক্ষে পৃথক বাণীতে এসব কথা বলেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাসস জানিয়েছে, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এই দিবস পালিত হচ্ছে। শুক্রবার এ উপলক্ষে বাণী দেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিরা সমাজের বোঝা নয়।

তিনি বলেন, উপযুক্ত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, দিকনির্দেশনা ও অনুপ্রেরণা প্রদানের মাধ্যমে অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করা সম্ভব। এক্ষেত্রে তাদের জন্য উপযুক্ত কর্মক্ষেত্র ও কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাদের প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন এবং পারিবারিক ও সামাজিকভাবে সমর্থন ও সহায়তা প্রদান অত্যন্ত জরুরি।

রাষ্ট্রপতি মনে করেন, দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘এমন বিশ্ব গড়ি অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তির প্রতিভা বিকশিত করি’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।

আবদুল হামিদ উল্লেখ করেন, সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে হলে প্রতিবন্ধী ও প্রতিবন্ধিতার ঝুঁকিতে রয়েছেন এমন শিশু ও ব্যক্তির জন্য সবাই মিলে কাজ করতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিসহ সকল

প্রতিবন্ধী ব্যক্তির মানসিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধ জীবন গঠনের পথকে আরো প্রসারিত করবে বলেও তিনি বিশ্বাস করেন।

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অটিজম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন শিশু-কিশোরদের সম্ভাবনাগুলোকে চিহ্নিত করে সঠিক পরিচর্যা, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও স্নেহ-ভালোবাসা দিয়ে গড়ে তোলা হলে তারাও পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের সম্পদ হিসেবে গড়ে উঠবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘অটিজমসহ এনডিডি ব্যক্তির স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য সাধারণ বিমা কর্পোরেশনের সঙ্গে ট্রাস্ট যৌথভাবে ‘বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বিমা’ বাস্তবায়ন করছে। এনডিডি ব্যক্তিকে প্রতিবছর এককালীন আর্থিক চিকিৎসা অনুদান প্রদান করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘এতিম অভিভাবকহীন এনডিডি ব্যক্তির অভিভাবক নিয়োগ এবং তাদের পুনর্বাসনের বিষয়ে সংগঠন নিবন্ধন নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে ট্রাস্ট কর্তৃক গুচ্ছ পদ্ধতিতে প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। প্রযুক্তিনির্ভর এ সকল কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে এনডিডি সুরক্ষা ট্রাস্টকে আরো সক্রিয় হতে হবে। এজন্য আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু, ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্য, পরিচর্যাকারী, অটিজম বিষয়ক গবেষক, চিকিৎসক, থেরাপিস্ট, সহায়ক উপকরণ উদ্ভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনসমূহকে শুভেচ্ছা জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানে সকল নাগরিকের সম-অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দেশের সবার অধিকার সুরক্ষায় বদ্ধপরিকর।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সহায়ক প্রযুক্তি হিসেবে ‘বলতে চাই’ অমৌখিক যোগাযোগ সহজ করবে। শিশুর অটিজম আছে সন্দেহ হলে সহজেই ‘স্মার্ট অটিজম বার্তা’ অ্যাপ দ্বারা ঘরে বসেই অটিজম আছে কিনা তা জানা যাবে।

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস ২০২২’ উপলক্ষে আনন্দ প্রকাশ এবং এ জন্য গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

এ বিভাগের আরো খবর