১০ গ্রামের ১১ হাজারের বেশি মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা চাপুলিয়া সেতু। এর একপাশে রেলিং নেই, আরেকপাশ ভাঙা, ধসে গেছে পাটাতন। সেতুটির একাধিক স্থানে দেখা দিয়েছে ফাটল।
স্থানীয়রা জানান, ভারী যানবাহন উঠলে পুরো সেতু কেঁপে ওঠে। জরাজীর্ণ এই সেতু হেঁটে পার হতে গেলেও আঁতকে ওঠে বুক।
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নের চাপুলিয়া-শিকিপাড়া সড়কের ওপর নির্মিত সেতুটির করুণ দশা পাঁচ বছর ধরে। দিনে দিনে বাড়ছে ঝুঁকি। এই সেতু দিয়ে বাধ্য হয়ে চলাচল করছে নিরুপায় মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলা ও পৌর শহরে যোগাযোগের জন্য চরডাঙ্গা, রায়ের পানাইল, পানাইল, সিঁকিপাড়া, চরআজপুর, বাজড়াসহ ১০ গ্রামের ১১ হাজার মানুষের ভরসা চাপুলিয়া সেতু। পাঁচ বছর ধরে এটি জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। রেলিং ভেঙে যাওয়ায় ভ্যান, অটোভ্যান, নছিমন-করিমন, বাইসাইকেল-মোটরসাইকেল প্রায়ই দুর্ঘটনায় পড়ছে। মাঝেমধ্যেই নিচে পড়ে যায় শিক্ষার্থীরা।
এলাকাবাসীর ভাষ্য, সেতুর দুই পাশের বেশির ভাগ রেলিং ভেঙে যাওয়ায় রাতের অন্ধকারে পারাপারের সময় প্রায়ই নিচে পড়ে যান পথচারীরা।
টগরবন্দ ইউনিয়নের বাসিন্দা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শ ম কলিন্স বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় সেতুটি ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। সেতুতে উঠলেই আঁতকে ওঠে বুক। এ নিয়ে জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্টদের কোনো মাথাব্যথা নেই। শিগগিরই এখানে নতুন সেতু নির্মাণের দাবি জানাই।’
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলাম জানান, সেতুর বেশ বয়স হয়েছে। রেলিংসহ বিভিন্ন জায়গায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।
টগরবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইমাম হাসান শিপন বলেন, ‘পুরোনোটি ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণ হবে। এ জন্য তিন মাস আগে সেতুর বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগে তালিকা জমা দেয়া হয়েছে।’
আলফাডাঙ্গা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলী মো. রাহাত ইসলাম বলেন, ‘সেখানে নতুন সেতু নির্মাণের জন্য আমাদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা ও সহযোগিতা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে সেতুর জায়গায় মাটি পরীক্ষা করা হয়েছে। রিপোর্ট এখনও হাতে আসেনি।’
অফিশিয়াল সব প্রক্রিয়া শেষ করে শিগগিরই টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে জানান তিনি।