রোজায় ইফতারের অন্যতম অনুষঙ্গ খেজুর ও ছোলার দাম বেড়েছে বাজারে। সে তুলনায় আপেল, আঙুর কিংবা মাল্টার মতো ফলগুলোর দাম বাড়েনি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
তাদের ভাষ্য, শবে বরাতের সময় থেকে খেজুরের দাম বাড়তি, তবে অন্য ফলগুলোর দাম স্বাভাবিক সময়ের মতোই ওঠানামা করছে।
ফলের দামে রোজার প্রভাব নিয়ে কথা হয় রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বরের হোপ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল সংলগ্ন একটি দোকানের মালিক মো. শাওনের সঙ্গে।
তিনি নিউজবাংলাকে জানান, শবে বরাতের সময় থেকে খেজুর বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে, তবে অন্য ফলগুলোর দরে রোজার প্রভাব দেখা যাচ্ছে না।
শাওন জানান, ভালো মানের মরিয়ম খেজুর শবে বরাতের আগে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল। সেটি এখন ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্য ফলের দাম নিয়ে এ বিক্রেতা বলেন, আঙুর কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়, যেটি এক সপ্তাহ আগে ছিল ২২০ টাকা। মাল্টা ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ২০০ টাকা।
তিনি আরও বলেন, বড় ও ভালো মানের আনার কেজিপ্রতি ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৩৪০ টাকা। আপেল ২৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ২৩০ টাকা।
খেজুর বাদে অন্য ফলগুলোর দামে রোজার প্রভাব নিয়ে জানতে চাইলে শাওন বলেন, ‘শুধু আঙুরের দাম বাড়তি। এটাও রোজার কারণে না।
‘এখন আঙুরের সিজন না। এ কারণে দাম একটু বেশি।’
একই এলাকার আরেক ফল বিক্রেতা মো. ফাহিম জানান, রোজার কারণে শুধু খেজুরের দাম বেশি। অন্য ফলগুলোর মধ্যে আঙুরের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে।
ফলে রোজার প্রভাব নিয়ে রাজধানীর উপকণ্ঠ সাভারের হেমায়েতপুরের ব্যবসায়ী মো. সোহেল বলেন, দাম একই রকম আছে। খেজুরের দাম সামান্য একটু বেশি।
মরিয়ম খেজুরের দিকে তাকিয়ে তিনি বলেন, ‘এই খেজুর আগে ৬০০ টাকায় বেচছি। এখন ৬২০-৬৩০ টাকায় বেচতেছি।’