বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অভিমানে কিশোরীর ‘আত্মহত্যা’

  •    
  • ২ এপ্রিল, ২০২২ ০১:১৯

স্থানীয়রা জানান, সোনালীর বাবা একজন রিকশাচালক। ঘটনার সময় তিনি রিকশা নিয়ে বাড়ির বাইরে ছিলেন। আর বাড়ি থেকে ২০০ গজ দূরে নানার বাড়ির পুকুরে গোসল ও কাপড় ধুচ্ছিলেন সোনালীর মা। 

কথা ছিল বড় ভাই ও ভাবির সঙ্গে মার্কেটে কেনাকাটা করতে যাবে ১৩ বছরের সোনালী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যেতে না পেরে অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ফরিদপুর সদরের মাচ্চরে শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে সোনালী। সে মাচ্চর ইউনিয়নের গোয়াতলা গ্রামের হেদায়েত কাজীর মেয়ে এবং শিবরামপুর আরডি অ্যাকাডেমির অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।

স্থানীয়রা জানান, সোনালীর বাবা একজন রিকশাচালক। ঘটনার সময় তিনি রিকশা নিয়ে বাড়ির বাইরে ছিলেন। আর বাড়ি থেকে ২০০ গজ দূরে নানার বাড়ির পুকুরে গোসল ও কাপড় ধুচ্ছিলেন সোনালীর মা।

মাচ্চর ইউনিয়নের স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য মোতালেব শেখ বলেন, ‘মেয়েটি দুপুরে বাড়ির পাশে খেলছিল। কথা ছিল, বড় ভাই ভাবির সঙ্গে মার্কেটে কেনাকাটা করতে যাবে। কিন্তু ভাই ও ভাবি তাকে ফাঁকি দিয়ে মার্কেটে চলে যায়। এ সময় সোনালী খেলা ফেলে বাড়ি গিয়ে ভাই-ভাবিকে দেখতে না পেয়ে অভিমানে নিজ ঘরের দরজা বন্ধ করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস নেয়।’

মোতালেব জানান, সোনালীর মা বাড়ি এসে মেয়েকে ডাকাডাকি ও খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এক পর্যায়ে ঘরে ঢুকে ফাঁস নেয়া অবস্থায় মেয়েকে দেখতে পেয়ে তিনি চিৎকার দিয়ে ওঠেন। এ সময় আশপাশের মানুষ এসে সোনালীর দেহ মাটিতে নামিয়ে আনে। পরে স্থানীয়রাই নিশ্চিত করে যে, সোনালী মারা গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

শুক্রবার এশার নামাজের শেষে জানাজার পর মাচ্চর কবরস্থানে সোনালীকে দাফন করা হয়।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি এম এ জলিল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘পরিবারের দাবিতে লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর