আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি বিরোধী জোটের নেতৃত্ব দেবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
তিনি বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচনে দুটি জোট হবে। একটি সরকারি দল ও তাদের সমর্থকরা থাকবে। বিরোধী জোটের নেতৃত্ব দেবে জাতীয় পার্টি। আমাদের জোটে সমর্থন থাকবে দেশের নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের।’
শুক্রবার মিরপুরের গোলাপটেক মাঠে দারুসসালাম থানা জাতীয় পার্টির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, ‘দেশের মানুষ স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা থেকে মুক্তি পেতে জাতীয় পার্টির দিকে তাকিয়ে আছে। দেশের মানুষ আবারও জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্রক্ষমতায় দেখতে চায়।’
তিনি বলেন, ‘দেশে এখন আর এক দিনের গণতন্ত্রও নেই। আগে দেশের মানুষ এক দিন ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে গণতন্ত্রের স্বাদ উপভোগ করত। ১৯৯১ সালের পর আওয়ামী লীগ ও বিএনপি টাকা এবং পেশিশক্তি ব্যবহার করে গণতন্ত্র পুরোপুরি ধংস করে দিয়েছে। দল দুটি ইচ্ছেমত সংবিধান কাটাকাটি করে গণতন্ত্র শেষ করে দিয়েছে।’
জিএম কাদের বলেন, ‘তারা সংবিধানিকভাবেই সংসদীয় গণতন্ত্রের নামে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। সাংবিধানিকভাবেই এখন সকল ক্ষমতা এক ব্যক্তির হাতে। তিনি যা বলবেন তাই হবে, তার কথার বাইরে কিছুই সম্ভব নয়। তিনি সকল আইন ও জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে।’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘১৯৯১ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ পরিচালনা করেছে। তারা দেশকে জবাবদিহিতাহীন দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে। দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হয়। বিচারকদের এখন আর আঙ্গুলের নির্দেশ দরকার হয় না। ডিজিটাল সিস্টেমে সব হয়ে যায়। তাই মানুষ আইনের শাসন পুরোপুরি ভোগ করতে পারছে না।’
দারুস সালাম থানা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আলমাস উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মাসুম পারভেজের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পাটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙা, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম সেন্টু, প্রেসিডিয়াম সদস্য আলমগীর সিকদার লোটনসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।