বর্তমানে দেশে ডিজিটাল লঙ্গরখানা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি বলেন, ‘১৯৭৪ সালে ছিল আওয়ামী লীগের এনালগ লঙ্গরখানা আর বর্তমানে চলছে ডিজিটাল নঙ্গরখানা। এটা দিয়ে দেশ চলতে পারে না।’
জাতীয় প্রেসক্লাবে শুক্রবার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আলাল বলেন, ‘তারা থাকবে ভিআইপিখানায় আর সাধারণ জনগণ থাকবেন লঙ্গরখানায়। তারা করবে বেগম পাড়া আর সাধারণ জনগণ খাবার পাবে না। সামনে রমজান আসছে, এক মুঠো চালের জন্য হাহাকার করে সাধারণ মানুষ। এভাবে দেশ চলতে পারে না।’
আলাল বলেন, ‘১৯৭৪ সালের লঙ্গরখানা, খাবার নিয়ে কুকুর মানুষের যে কাড়াকাড়ি, বর্তমানে টিসিবির পেছনে মানুষের লাইন সেই দৌড়াদৌড়ি। যখন দেখি সন্তানকে পাশে রেখে মা টিসিবির লাইনে দাঁড়িয়েছে। মায়ের কষ্ট দেখে সন্তানও অন্য লাইনে দাঁড়িয়েছে। এর চেয়ে কষ্ট আর কী হতে পারে। এরপরও জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে নির্লজ্জের মতো বলে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায় আছে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের কথা কি বলবেন। এদের নিয়ে কথা বলে কোনো লাভ নেই। একটা জিনিস পরিষ্কারভাবে জানতে হবে, আমাদের ওপর দায়িত্ব রয়েছে এই দেশের সতীত্ব রক্ষার।
‘এ দেশের সতীত্ব রক্ষা করা মানে গণতন্ত্র রক্ষা করা। এ দেশের সতীত্ব রক্ষা করা মানে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, জেনারেল এ জি ওসমানী, শেরে বাংলা ফজলুল হক, ভাসানী, সোহরাওয়ার্দী, শেখ মুজিবুর রহমান যে ভালো কাজগুলো করেছে, তার সঙ্গে থাকা।’
বর্তমান বাংলাদেশ একটা কারাগার মন্তব্য করে আলাল বলেন, ‘মজনুসহ যারা কারাগারে রয়েছে তাদের সবাইকে মুক্ত করতে হবে। শুধু তাই নয়, হাজার হাজার আলেম ওলামারা আজ কারাগারে রয়েছে। এই পবিত্র রমজান মাসে তাদের বয়ান আমাদের শোনার কথা। তারা কারাগারে, তাদেরও মুক্ত করতে হবে।’
প্রতিবাদ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, যুবদল ঢাকা দক্ষিণের আহ্বায়ক গোলাম মাওলা শাহীনসহ অনেকে।