দীর্ঘ চেষ্টার পর বিশেষ ‘হেয়ার ওয়েল’ উৎপাদন ও বিক্রি শুরু করেছিলেন ঝিনাইদহের তানিয়া আফরিন। বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ও ট্রেড লাইসেন্স নিয়েই তানিয়া ‘তাসা অ্যান্ড তোহা হেয়ার ওয়েল’ অনলাইন প্লাটফর্মে বাজারজাত করছিলেন পণ্যটি। কিন্তু একটি চক্র তার এই পণ্যের বোতল ও মোড়ক নকল করে প্রতারণা শুরু করে। তার আসল পণ্যের ভিডিও নিয়ে প্রতারক চক্র নকল পণ্য বিক্রি করে আসছে, এতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন উদ্যোক্তা তানিয়া।
প্রতারণার অভিযোগে গত ১৮ মার্চ র্যাব-২ অভিযান চালিয়ে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। সে ঘটনায় জড়িত আরও কয়েকজন পলাতক রয়েছে। পলাতকরা এখনও তাদের নকল পণ্য বাজারে সরবরাহ করছে বলে দাবি ‘তাসা অ্যান্ড তোহা হেয়ার ওয়েল’-এর মালিক তানিয়ার।
শুক্রবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।
তানিয়া বলেন, ‘প্রতারকরা লালবাগে কারখানা খুলে আমার পণ্যের মোড়ক ব্যবহার করে নকল পণ্য বিক্রি করছে। তারা একটি কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে এই পণ্যগুলো সরবরাহ করছে। প্রোডাক্টের ছবি, ভিডিও আমার অরজিনাল ফেসবুক পেজ থেকে ডাউনলোড করে তারা তাদের নকল পেজে দিচ্ছে। আমার প্রতিষ্ঠানের নামের সঙ্গে মিল রেখে অনেকগুলো আইডি ও পেজ খুলে সেখানে তাদের প্রচারণা চালাচ্ছে।’
প্রতারকরা পণ্যের ডেলিভারি স্লিপে তানিয়ার মোবাইল নম্বর যুক্ত করছেন বলেও জানান ‘তাসা অ্যান্ড তোহা হেয়ার ওয়েল’-এর মালিক।
তানিয়া বলেন, ‘ওরা নকল পণ্য কাস্টমারদের কাছে দিচ্ছে, ডেলিভারি স্লিপে আমার নাম্বার ব্যবহার করছে। ক্রেতারা ফোন করে বলছে, আপনার পোস্ট, লাইভ দেখে আমরা পণ্য কিনেছি। কিন্তু হেয়ার ওয়েল ব্যবহার করে সুফল পাচ্ছি না। উল্টো ক্ষতি হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি আমার পেজে কিছু পোস্ট করার অল্প সময়ের মধ্যেই প্রতারকরা সেগুলো ডাউনলোড করে তাদের ফেইক পেজগুলোতে পোস্ট করছে। পোস্টগুলো বুস্ট করছে। আমার পণ্যের নাম ব্যবহার করে নকল পণ্যে বাজার সয়লাব করে দিয়েছে তারা। কয়েকজন ধরা পড়েছে, তাও তাদের তৎপরতা থামেনি। এখনও তারা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।’
তার এমন সমস্যা ও বিড়ম্বনার দ্রুত সমাধান দাবি করেন তিনি। একই সঙ্গে সমস্যা সমাধানে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তানিয়া।